Bus Services in Kolkata

মুকুন্দপুরে দু’টি বেসরকারি বাসের স্ট্যান্ড উঠে যাওয়ায় বিপাকে বহু যাত্রী, দ্রুত সমস্যা সমাধানের দাবি

২৪ এ/১ এবং ১-এ রুটের মোট ৭৪টি বেসরকারি বাস চলাচল করে। ২৪ এ/১-এর ৩৯টি বাস চলাচল করে মুকুন্দপুর থেকে হাওড়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশন পর্যন্ত এবং ১-এ ৩৫টি বাস চলে মুকুন্দপুর থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার মহেশতলার রামনগরে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৮ জানুয়ারি ২০২৫ ০৭:৪০
Share:

স্ট্যান্ড উঠে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা। —নিজস্ব চিত্র।

মুকুন্দপুর থেকে চলাচলকারী দু’টি বেসরকারি বাস রুটের একটি স্ট্যান্ড উঠে যাওয়ায় সমস্যায় পড়েছেন নিত্যযাত্রীরা। ২৪ এ/১ এবং ১-এ রুটের মোট ৭৪টি বেসরকারি বাস চলাচল করে। ২৪ এ/১-এর ৩৯টি বাস চলাচল করে মুকুন্দপুর থেকে হাওড়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশন পর্যন্ত এবং ১-এ ৩৫টি বাস চলে মুকুন্দপুর থেকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার মহেশতলার রামনগরে। বাস দু’টি ভোর থেকে রাত পর্যন্ত চলাচল করত। প্রতিদিন প্রায় ৫০ থেকে ৬০ হাজার মানুষ যাতায়াত করতেন বলে দাবি। সম্প্রতি মুকুন্দপুরে থাকা ওই দু’টি রুটের স্ট্যান্ডটি উঠে গিয়েছে কলকাতা হাই কোর্টের এক নির্দেশে। একটি ব্যক্তিগত জমিতে দীর্ঘ দিন ধরে স্ট্যান্ড তৈরি করে পরিষেবা দেওয়া হচ্ছিল। বছর কয়েক আগে জমির মালিক জমি ফিরে পেতে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। সম্প্রতি মামলায় জয়ী হয়েছেন ওই ব্যক্তি। আর তাতেই স্ট্যান্ডবিহীন হয়ে পড়ায় ওই দু’টি বেসরকারি বাস যাত্রীদের পরিষেবা দিতে পারছে না।

Advertisement

যদিও স্থায়ী বাসস্ট্যান্ড করে দেওয়ার জন্য কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসককে। তিনিও আলিপুরের রিজিওনাল ট্রান্সপোর্ট অফিসার (আরটিও), বেলতলা আরটিও-সহ পরিবহণ দফতরের বেশ কিছু আধিকারিককে নতুন স্ট্যান্ডের জায়গা খোঁজার দায়িত্ব দিয়েছেন। পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, স্ট্যান্ড তৈরি করার জন্য এখনও বিকল্প জায়গা মেলেনি। তাই হাওড়া ফায়ার স্টেশনের স্ট্যান্ডে রুটের বাস দাঁড়াতে পারলেও মুকুন্দপুর এসে আবারও হাওড়ার অভিমুখে রওনা হতে হচ্ছে। মুকুন্দপুর থেকে রামনগরের মধ্যে চলাচল করা বহু যাত্রী যেমন তাদের হাতছাড়া হচ্ছে, তেমনই যাত্রীরা স্ট্যান্ড থেকে বাস পাওয়ার সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।

এই বিষয়ে পরিবহণ দফতরের সক্রিয় হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন সিটি সাবআর্বান বাস সার্ভিসের নেতা টিটু সাহা। তিনি বলেন, ‘‘ইএম বাইপাসের মুকুন্দপুরের মতো জায়গা থেকে হাওড়া ও রামনগর পর্যন্ত বাস পরিষেবা দেওয়া মোটেই সহজ কথা নয়। বহু মানুষ এই দুটি রুটের বাসের উপর নির্ভর করেন। বর্তমানে যা পরিস্থিতি, তাতে বহু মানুষকে আমরা পরিষেবা দিতে পারছি না।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে অবশ্যই কমিটি গঠন হয়েছে। নতুন বাসস্ট্যান্ড তৈরি করতে আমাদের কাছ থেকে যে কোনও ধরনের সহযোগিতা চাওয়া হলে তা করতে আমরা রাজি আছি। কিন্তু, স্ট্যান্ড তৈরির কাজে গতি এলে বেসরকারি বাস রুট দুটি বেঁচে যায়। সঙ্গে যাত্রীভোগান্তিও কম হয়।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement