BDO Prasanta Barman

দত্তাবাদে স্বর্ণকার খুনে গ্রেফতার বিডিও প্রশান্ত বর্মণের এক ‘বন্ধু’ এবং গাড়িচালক! শনিবার হাজির করানো হল বিধাননগর আদালতে

গত ২৯ অক্টোবর নিউ টাউন থানা এলাকার যাত্রাগাছি থেকে উদ্ধার হয় স্বর্ণকার স্বপন কামিল্যার ক্ষতবিক্ষত দেহ। পরিবারের অভিযোগ, তাঁর মৃত্যুর আগের দিন, অর্থাৎ ২৮ অক্টোবর তাঁর গয়নার দোকানে হাজির হয়েছিলেন রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মণ।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০২৫ ১৪:১৯
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

সল্টলেকের কাছে দত্তাবাদে স্বর্ণকারকে অপহরণ এবং খুনের ঘটনায় দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল বিধাননগর পুলিশ। শনিবার ওই দু’জনকে হাজির করানো হয়েছে বিধাননগর আদালতে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃতদের নাম রাজু ঢালি এবং তুফান থাপা। জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মণ দক্ষিণবঙ্গে এলে তাঁর গাড়ি চালাতেন রাজু। অন্য দিকে, পেশায় ঠিকাদার তুফান বিডিওর পরিচিত এবং বন্ধু বলে জানা যাচ্ছে। দত্তাবাদে গয়নার দোকানের মালিক তথা পশ্চিম মেদিনীপুরের বাসিন্দা স্বপন কামিল্যা খুনে এঁদের ভূমিকা রয়েছে বলে দাবি তদন্তকারীদের।

গত ২৯ অক্টোবর নিউ টাউন থানা এলাকার যাত্রাগাছি থেকে উদ্ধার হয়েছিল ৪০ বছরের স্বপনের ক্ষতবিক্ষত দেহ। স্বর্ণকারের পরিবারের অভিযোগ, তাঁর মৃত্যুর আগের দিন, অর্থাৎ ২৮ অক্টোবর গয়নার দোকানে হাজির হয়েছিলেন রাজগঞ্জের বিডিও। স্বপন এবং ওই বাড়ির মালিক গোবিন্দ বাগকে তুলে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। চুরির গয়না স্বপনের দোকানে বিক্রির তদন্ত করতে গিয়ে ওই পদক্ষেপ করেন। ঠিক তার পরের দিনই স্বর্ণকারের দেহ উদ্ধার হয়। এ নিয়ে বিতর্কের মুখে শুক্রবার প্রথম বার মুখ খোলেন জলপাইগুড়ি জেলাতে কর্মরত ওই বিডিও। তিনি জানান, বিধাননগর পুলিশের তরফে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তিনি তদন্তে সহযোগিতা করছেন। যদিও প্রশান্তের দাবি, তাঁর বা তাঁর বাড়ির কারও গয়না চুরি যায়নি এবং তিনি চুরির তদন্ত করেননি। বিডিও-র দাবি, তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে। কেন? প্রশান্ত বলেছিলেন, “সংবাদমাধ্যম আমাকে ‘দাবাং বিডিও’ বলেছিল। আমি ঠিকাদারদের দুর্নীতি বন্ধ করেছি, জমি মাফিয়াদের আটকে দিয়েছি, সিন্ডিকেট বন্ধ করেছি, স্কুল-রাস্তা করেছি। মানুষের বিপদে ছুটে গিয়েছি। সেই কারণে আমাকে ফাঁসানোর চেষ্টা হয়েছে।’’

Advertisement

অন্য দিকে, খুনের ঘটনায় মৃতের পরিজনেরা ও দত্তাবাদে যে বাড়িতে মৃতের সোনার দোকান ছিল, তার মালিক গোবিন্দ অভিযোগ করেছেন, গত ২৮ অক্টোবর বিডিও নিজে দত্তাবাদে হাজির হয়েছিলেন। দু’টি গাড়িতে তাঁর সঙ্গীরাও ছিলেন। তবে খুন ও অপহরণের ঘটনার সময়ে বিডিওর অবস্থান কোথায় ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ সূত্রও মিলেছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement