Suicide

মোবাইল নিয়ে অশান্তি, অভিমানে আত্মঘাতী দশম শ্রেণির ছাত্রী

ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ কলকাতার রিজেন্ট পার্ক এলাকার পূর্ব আনন্দপল্লিতে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ জানুয়ারি ২০২০ ১৭:৪২
Share:

দোলন দাস। নিজস্ব চিত্র

সামনে মাধ্যমিক পরীক্ষা। কিন্তু মেয়ে সব সময়ে ব্যস্ত ফোন নিয়ে। তা নিয়েই মেয়েকে বকাবকি করতেন মা। কেড়ে নেন মেয়ের মোবাইল ফোন। আর তার জেরেই আত্মঘাতী হল দশম শ্রেণির এক ছাত্রী! সোমবার সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ কলকাতার রিজেন্ট পার্ক এলাকার পূর্ব আনন্দপল্লিতে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ এক কিশোরীকে তাঁর পরিবারের লোকজন নিয়ে যান এম আর বাঙুর হাসপাতালে। কিশোরীর গলায় ফাঁসের চিহ্ন ছিল। কিশোরীকে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। হাসপাতাল থেকে খবর পেয়ে কিশোরীর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে রিজেন্ট পার্ক থানার পুলিশ। জানা যায়, ওই কিশোরীর বাড়ি আনন্দপল্লিতে। স্থানীয় বিনয় বালিকা বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিল সে। নাম দোলন দাস। বাবা তাপস কর্মসূত্রে থাকেন গুজরাতে। এখানে দাদা এবং মায়ের সঙ্গে থাকত দোলন। পরিবারের সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জানতে পারে, সর্ব ক্ষণ মোবাইল নিয়ে ব্যস্ত থাকত দোলন। তার ফলে পড়াশোনার ক্ষতি হচ্ছিল। এই নিয়ে এর আগেও বেশ কয়েক বার মা রীতা বকাঝকা করেছেন মেয়েকে।

সোমবার বিকালে সেই মোবাইল নিয়ে ফের অশান্তি হয় মা-মেয়ের মধ্যে। জানা গিয়েছে, মেয়ের কাছ থেকে মোবাইল কেড়ে নিতে যান রীতা। সেই সময় মোবাইলটি ছিটকে পড়ে ভেঙে যায়। এর পরই নিজের ঘরে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয় দোলন। প্রথমে কিছু বুঝতে পারেননি তাঁর মা। কিন্তু খানিক পরেও ঘর থেকে কোনও সাড়া শব্দ না পাওয়ায় মা দরজা ধাক্কা দেন। কোনও সাড়া না পেয়ে তিনি প্রতিবেশী এবং স্থানীয় ক্লাবের সদস্যদের কাছে সাহায্য চান। স্থানীয় ক্লাবের সদস্য রাজা দাস বলেন, ‘‘দরজা ভেঙে ঢুকে দেখি সিলিং ফ্যান থেকে মায়ের শাড়ি দিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলছে দোলন। সঙ্গে সঙ্গে নামিয়ে নিয়ে যাই এম আর বাঙুর হাসপাতালে।”

Advertisement

আরও পড়ুন: ১০০ কোটির হেরোইন উদ্ধার পাইকপাড়ায়, পুলিশের জালে দুই

আরও পড়ুন: বেহালায় দাউ দাউ করে জ্বলে উঠল স্কুলবাস

প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের অনুমান মোবাইল নিয়ে অশান্তির জেরেই অভিমানে আত্মঘাতী হয়েছে ওই ছাত্রী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন