হাওড়ায় হোক আরও উন্নতি, চান মুখ্যমন্ত্রী

স্পোর্টস কমপ্লেক্স থেকে কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে এলিভেটেড করিডর— হাওড়া শহরের উন্নয়নে একগুচ্ছ পরিকল্পনা আগেই নিয়েছে রাজ্য সরকার। এ বার সংশোধনাগার ও জেলা হাসপাতালকে অন্য জায়গায় সরিয়ে নিয়ে শহরটাকে আরও সাজিয়ে তোলার পরিকল্পনা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ জুন ২০১৮ ০১:২৭
Share:

স্পোর্টস কমপ্লেক্স থেকে কোনা এক্সপ্রেসওয়েতে এলিভেটেড করিডর— হাওড়া শহরের উন্নয়নে একগুচ্ছ পরিকল্পনা আগেই নিয়েছে রাজ্য সরকার। এ বার সংশোধনাগার ও জেলা হাসপাতালকে অন্য জায়গায় সরিয়ে নিয়ে শহরটাকে আরও সাজিয়ে তোলার পরিকল্পনা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ‘‘হাওড়া আরও সুন্দর হতে পারে। শহরটা ঘিঞ্জি হলেও এখানকার মানুষ বনেদি। এ সবের মধ্যেই নতুন পথ খুঁজে নিতে হবে।’’

Advertisement

বৃহস্পতিবার হাওড়ার শরৎসদনে প্রশাসনিক বৈঠকে এসে শহরটাকে সাজিয়ে তোলার জন্য একগুচ্ছ পরিকল্পনার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানেই উঠে এসেছে, ডুমুরজলায় ‘খেল সিটি’ হোটেল-সহ আন্তর্জাতিক মানের একটি স্টেডিয়ামের কথা। আর তারই সঙ্গে আরও একটি নতুন স্টেডিয়াম তৈরির বিষয়ে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের দেওয়া প্রস্তাবের কথাও এ দিন জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি মনে করেন, আর একটি স্টেডিয়াম হলে হাওড়াতেও আসতে পারে আইপিএল-এর মতো খেলা।

এ দিন হাওড়া জেলা হাসপাতালের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘আমি দেখেছি হাওড়া জেলা হাসপাতালের জায়াগা অত্যন্ত কম। জেলা হাসপাতালের অবস্থা এমন হবে কেন? হাসপাতালটি একটু বড় জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া খুবই প্রয়োজন।’’ এর পরেই তিনি জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ভবানী দাসের কাছে জানতে চান, জেলা হাসপাতালের কতটা জায়গা রয়েছে। ভবানীদেবী জানান, মাত্র দু’একর জমিতে হাসপাতালটি অবস্থিত।

Advertisement

এর পরেই মুখ্যমন্ত্রী জানান, আড়ুপাড়ায় ১১ একর জমিতে একটি পুলিশ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র-সহ হাওড়া সংশোধনাগার তৈরি হচ্ছে। ফলে পুরনো সংশোধনাগারের পাঁচ একর জমিতে অত্যাধুনিক ব্যবস্থা-সহ জেলা হাসপাতালটি নতুন করে তৈরির নির্দেশ দেন তিনি। এর পরে
মুখ্যমন্ত্রী জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তীর কাছে তাঁর বাংলোর কী অবস্থা জানাতে চান। উত্তরে জেলাশাসক বলেন, ‘‘বাংলোর অবস্থা খুবই শোচনীয়। মাঝেমাঝে বালি সিমেন্ট দিয়ে মেরামত করতে হয়।’’ ওই ভাবে মেরামতি করে কিছু হবে না বলে মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশ দেন, হাওড়া হাসপাতালের দু’একর জায়গাটিতে জেলাশাসক ও পুলিশ কমিশনারের অফিস এবং বাংলো তৈরি করার জন্য।

এ দিন বৈঠকে উপস্থিত পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানান, ইতিমধ্যেই হিডকোকে দিয়ে ডুমুরজলায় ‘খেল সিটির’ সমীক্ষা হয়েছে। তবে ওখানে থাকা কিছু পুরনো বাড়ি সরাতে হবে। খেল সিটিতে ক্রিকেট, ফুটবল সব ধরনের খেলা হবে। ফিরহাদ বলেন, ‘‘আন্তর্জাতিক মানের খেলা হবে, তাই বড় হোটেলও বানাতে হচ্ছে।’’ তখন মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘‘সিএবি হাওড়ায় আর একটি স্টেডিয়াম করতে চাইলে আমরা জায়গা দিতে প্রস্তুত।’’ একই সঙ্গে হাওড়ার জল জমার সমস্যা দূর করতে সেচ দফতরকে গঙ্গার দিকে লকগেট করার নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন