অবশেষে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপে সমস্যা মিটল চারুচন্দ্র কলেজে। নিরাপত্তা বাড়াতে হবে। এই দাবি তুলে শনিবার চারুচন্দ্র কলেজের মূল ফটকে দিনভর অবস্থান বিক্ষোভ করেন শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীরা।
অভিযোগ, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের জন্য চার লক্ষ টাকার দাবি করেছিল বিদায়ী ছাত্র সংসদ। কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ জানান, টাকা দেওয়া সম্ভব নয়। কিন্তু নাছোড় টিএমসিপি-র সমর্থকেরা শুক্রবার বেশ কয়েক ঘণ্টা অধ্যক্ষের ঘরের বাইরে বিক্ষোভ দেখান। অধ্যক্ষের অভিযোগ, খারাপ ভাষায় তাঁকে আক্রমণ করেন ওই সমর্থকেরা, যাঁদের মধ্যে অধিকাংশই বহিরাগত। অধ্যক্ষ সত্রাজিৎ ঘোষ এর পরে পদত্যাগের ইচ্ছাও প্রকাশ করেন। এ দিন অধ্যক্ষ বলেন, ‘‘যে ভাবে বহিরাগতেরা কলেজে এসে দাপাচ্ছে তাতে শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। আমরা এর সার্বিক সমাধান চাইছি।’’
এ দিন শিক্ষামন্ত্রী কলেজে গিয়ে শিক্ষকদের বলেন, ‘‘বহিরাগতদের হস্তক্ষেপ কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না।’’ তিনি কর্তৃপক্ষকে এ বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ করতে নির্দেশ দিয়ে বলেন, ‘‘বহিরাগতদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ জানান। কিন্তু সোমবার থেকে পঠনপাঠন স্বাভাবিক করুন।’’
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার থেকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিএ, বি এসসি পার্ট ওয়ান পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। ওই পরীক্ষা যাতে সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করা হয় সে বিষয়টি শিক্ষামন্ত্রী বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে দেখতে বলেন। চারুচন্দ্র কলেজে পাঁচশোরও বেশি পরীক্ষার্থীর আসন পড়েছে। শুক্রবারই কলেজ কর্তৃপক্ষ কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছিলেন, কলেজের এই পরিস্থিতির মধ্যে তাঁরা ওই পরীক্ষা নিতে পারবেন না। এ দিকে যাদের বিরুদ্ধে এত অভিযোগ সেই টিএমসিপি-র সভানেত্রী জয়া দত্তকে এ দিন যোগাযোগের চেষ্টা হলে তিনি ফোন ধরেননি। জবাব মেলেনি এসএমএসেরও।