ফুটপাত বিতর্ক পিছু ছাড়ছে না সল্টলেকে

সল্টলেকের ফুটপাত নিয়ে অভিযোগ যেন থামছেই না। কখনও তা ওঠে বিধাননগর পুরসভার তরফে। কখনও বা উঠছে বিধাননগর পুর এলাকার বাসিন্দাদের তরফে। 

Advertisement

কাজল গুপ্ত

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ এপ্রিল ২০১৯ ০০:৩৮
Share:

সল্টলেকের ফুটপাত। ফাইল চিত্র।

সল্টলেকের ফুটপাত নিয়ে অভিযোগ যেন থামছেই না। কখনও তা ওঠে বিধাননগর পুরসভার তরফে। কখনও বা উঠছে বিধাননগর পুর এলাকার বাসিন্দাদের তরফে।

Advertisement

এক সময়ে ফুটপাত জুড়ে বাগান কিংবা রকমারি সৌন্দর্যায়ন করে পুর কর্তৃপক্ষের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছিল বিধাননগরের বাসিন্দাদের একাংশকে। এ বার অবশ্য বাসিন্দাদের অভিযোগের আঙুল পুরসভার দিকে। অভিযোগ, রাস্তা থেকে ফুটপাত খানিকটা উঁচু। ফুটপাতের মাঝে বাড়ির প্রবেশপথ থাকলে সেখানে ফুটপাত থাকে না। ফলে ফুটপাত ধরে হাঁটতে গিয়ে যাতায়াতে সমস্যায় পড়েছেন পথচলতি প্রবীণেরা। বরাহনগরের বাসিন্দা দেবু দত্তের কথায়, সল্টলেকে পূর্তভবন মোড় থেকে সিজিও কমপ্লেক্স যাওয়ার রাস্তায় টানা ফুটপাত ধরে হাঁটাই মুশকিল। তার উপরে কোথাও কোথাও ফুটপাত অনেক উঁচু, কোথাও ফুটপাত কেটে বাড়িতে যাতায়াতের রাস্তা। ফলে হঠাৎ করেই উঁচু থেকে নেমে পড়তে হয়।

ফুটপাত-বিতর্কের কাঠগড়ায় রয়েছে কোথাও বা গাড়ি, কোথাও দোকানের জিনিস রাখার অভিযোগও। তাই ফুটপাত ছেড়ে বাধ্য হয়ে রাস্তা ধরেই হাঁটছেন পথচলতি মানুষ। সল্টলেকে যেমন ফুটপাত থাকলেও সমস্যা রয়েছে, রাজারহাট-গোপালপুর এলাকায় আবার বহু জায়গায় ফুটপাতই নেই। এর জেরে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের একাংশের।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

বিধাননগর পুরসভার একাংশের দাবি, রাজারহাট-গোপালপুর এলাকায় ফুটপাত তৈরির কাজ আগেই শুরু হয়েছে। ধীরে ধীরে সর্বত্র ফুটপাত তৈরি করা হবে। পাশাপাশি পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, সল্টলেকের ফুটপাত দখলদারির সমস্যা আছে এবং তা দেখাও হয়। যদিও ফুটপাতের উচ্চতা নিয়ে অভিযোগ মানতে নারাজ পুর কর্তৃপক্ষ। তাঁদের মতে, ওই উচ্চতার কারণে হাঁটাচলায় সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কর্তৃপক্ষ জানান, ফুটপাতের ধারে বাড়ি-অফিস, থাকায় সেখান থেকে বেরোনোর জন্য ফুটপাত থাকবে না সেটাই তো স্বাভাবিক।

বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, অনেক টাকা খরচ করে কিছুদিন আগে ফুটপাতে বসেছে পেভার ব্লক। তখনই তো উচ্চতা যে বাড়লে অসুবিধা হবে সে কথা ভাবা উচিত ছিল পুরসভার। এখন ফের যে ফুটপাত কাটা সম্ভব নয় সে তো জানা কথাই।

মেয়র পারিষদ দেবাশিস জানা অবশ্য নির্বাচনী বিধির কারণে এই বিষয়ে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। নির্বাচনের পরে এই সমস্যার কথা শুনবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন