Coronavirus

স্টেশনে ভাইরাস পরীক্ষা হচ্ছে না, ক্ষুব্ধ পুর কর্তৃপক্ষ

অতীন জানান, হাওড়া এবং শিয়ালদহ স্টেশন হয়েও ভিন্‌ রাজ্য থেকে বহু মানুষ প্রতিদিন কলকাতায় প্রবেশ করছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০২০ ০৩:২৩
Share:

ফাইল চিত্র

হাওড়া এবং শিয়ালদহ স্টেশন ও বিমানবন্দর থেকে যাঁরা শহরে ঢুকছেন, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ তাঁদের শরীরে রয়েছে কি না তা পরীক্ষার কাজ ঠিক মতো হচ্ছে না বলে মনে করছে কলকাতা পুর প্রশাসন। অথচ তাঁরা এক বার শহরে ঢুকে পড়লে পুরো চাপ এসে পড়ছে পুর প্রশাসনের উপরে। বৃহস্পতিবার এমনই অভিযোগ করলেন কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। এ দিন তিনি জানান, রাজ্য সরকারের যে আমলার ছেলে নোভেল করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন, সেই যুবক লন্ডন থেকে মুম্বই হয়ে কলকাতায় ফিরেছেন। কিন্তু তাঁরও পরীক্ষা হয়নি। বিদেশ থেকে দেশের অন্য শহর হয়ে যাঁরা কলকাতায় ঢুকছেন তাঁদেরকেও পরীক্ষা করা দরকার। কিন্তু সেই কাজে গাফিলতি থাকায় সংক্রমণের আশঙ্কা রয়েই যাচ্ছে।

Advertisement

অতীন জানান, হাওড়া এবং শিয়ালদহ স্টেশন হয়েও ভিন্‌ রাজ্য থেকে বহু মানুষ প্রতিদিন কলকাতায় প্রবেশ করছেন। তাঁদেরকেও স্টেশনে প্রাথমিক পরীক্ষা করা এবং স্যানিটাইজ়ার দেওয়ার ব্যবস্থা করা জরুরি বলে মনে করেন তিনি। এ দিন করোনার সতর্কতা নিয়ে মেয়র ফিরহাদ হাকিম এবং ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের মধ্যে আলোচনা হয়। পরে অতীনবাবু জানান, মহারাষ্ট্রে করোনার সংক্রমণের সংখ্যা বাড়ায় সেখান থেকে বহু মানুষ ট্রেনে চড়ে কলকাতায় ঢুকছেন। একাধিক জায়গায় ওই সব বাসিন্দাকে সরাসরি ঢুকতে দেওয়া নিয়ে অসন্তোষ বাড়ছে। তাঁর কথায়, ‘‘স্টেশনে থার্মাল স্ক্যানার নিয়ে পরীক্ষা এবং স্যানিটাইজ়ার দেওয়ার ব্যবস্থা রাখা প্রয়োজন ছিল। তাতে অনেকেই সন্দেহমুক্ত হতে পারতেন।’’

করোনার মোকাবিলায় বুধবারই সরকারি অফিসে বিকেল চারটের সময়ে ছুটি দেওয়ার কথা ঘোষণা করা হয়েছে। তার পরে এ দিনই কলকাতা পুর ভবনে বিকেল চারটেয় ছুটির মেজাজ চলে আসে। যদিও পুর প্রশাসন এখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে বিকেল চারটেয় ছুটির বিজ্ঞপ্তি জারি করেনি।

Advertisement

মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘পুরসভার প্রধান কাজ পরিষেবা দেওয়া। স্বাস্থ্য, জঞ্জাল অপসারণ, নিকাশি এবং পানীয় জল সরবরাহের মতো জরুরি কাজে লোকের পরিবর্তন করা দরকার। সেই তালিকা করতে দেওয়া হচ্ছে। সবাইকে বিকেল চারটেয় ছেড়ে দিলে কাজের অসুবিধা হবে। রোস্টার তৈরি হলে কেউ দুপুর দু’টোয়, কেউ চারটেয়, কেউ তার পরে ছুটি পাবেন।’’

বৃহস্পতিবার মেটিয়াবুরুজে তৈরি পোশাকের বাজার বন্ধ করার জন্য পুর প্রশাসনের কাছে আবেদন জানানো হয় স্থানীয় পুলিশের পক্ষ থেকে। আবেদনে বলা হয়, ওই বাজারে কেনাবেচার জন্য প্রচুর মানুষের ভিড় হয়। করোনা নিয়ে সতর্ক থাকার জন্য ওই বাজার বন্ধ করা জরুরি। সেই মতো ওই বাজার বন্ধ করার জন্য মাইকে প্রচার করার পরিকল্পনাও হয় পুরমহলে। কিন্তু সম্মতির জন্য ওই সংক্রান্ত ফাইল মেয়রের কাছে আসতেই তিনি তা নাকচ করে দেন। মেয়র বলেন, ‘‘কোনও বাজার বন্ধ করার পরিকল্পনা নেই পুরসভার।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন