প্রতীকী ছবি
চিকিৎসার জন্য সল্টলেকের বাসিন্দা মেয়ে-জামাইয়ের কাছে গিয়ে থাকছিলেন লেক টাউনের বাসিন্দা এক বৃদ্ধ। সম্প্রতি করোনার উপসর্গ দেখা দেওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। সল্টলেকের ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের ওই বাড়িরই এক পরিচারিকাকে প্রথমে গৃহ পর্যবেক্ষণে রাখা হলেও পরে তাঁকে কোয়রান্টিন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাঁর পরিবারের সাত সদস্যকেও। সেই ঘটনাই চিন্তা বাড়িয়েছে বিধাননগর পুর প্রশাসনের।
৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা মেয়র পারিষদ রাজেশ চিরিমার জানান, ওই বৃদ্ধকে হাসপাতালে পাঠানোর পরে তাঁর মেয়ে-জামাই-সহ বাড়ির চার সদস্যকে কোয়রান্টিন কেন্দ্রে পাঠানো হয়। সেই সময়ে পরিচারিকাকে গৃহ পর্যবেক্ষণে থাকতে বলা হয়েছিল। কিন্তু বুধবার এবং বৃহস্পতিবার ওই পরিচারিকা-সহ তাঁর পরিবারের সাত জনকেও কোয়রান্টিন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তাঁরা বিধাননগর পুরসভার অন্তর্গত ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের ঘিঞ্জি এলাকায় থাকেন বলে চিন্তা বেড়েছে পুরসভার। মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) প্রণয় রায় জানিয়েছেন, এ বিষয়ে পুরসভা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করছে। সংক্রমণ রুখতে ওই এলাকায় যাতায়াতও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যে বিধাননগর পুর এলাকায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। রাজারহাট-গোপালপুর এলাকার এক মাছবিক্রেতা করোনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ফলে নতুন করে সংক্রমণ চিন্তা বাড়াচ্ছে পুরসভার।