Coronavirus in West Bengal

বরাহনগরে ‘কোর’ এলাকায় ফোন নম্বর-সহ লিফলেট

গত রবিবার থেকে এই ব্যবস্থা চালু হয়েছে বরাহনগরের ১১ এবং ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ এপ্রিল ২০২০ ০৩:১৬
Share:

ছবি পিটিআই।

করোনা-সংক্রমণ ঠেকাতে বরাহনগরের দু’টি ওয়ার্ডকে ‘কোর’ ও ‘বাফার’ জ়োনে ভাগ করে সিল করল প্রশাসন। ‘কোর’ জ়োনে বসবাসকারীরা বাড়ির বাইরে বেরোতে পারবেন না। তাঁদের বাড়ি বাড়ি অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রী পৌঁছে দেবে পুলিশ ও স্থানীয় প্রশাসন। অন্য দিকে, বিশেষ জরুরি প্রয়োজনে পুলিশের অনুমতি নিয়ে এক জন করে বেরোতে পারবেন ‘বাফার’ জ়োনে বসবাসকারী লোকজন।

Advertisement

গত রবিবার থেকে এই ব্যবস্থা চালু হয়েছে বরাহনগরের ১১ এবং ২৮ নম্বর ওয়ার্ডে। দু’টি জ়োনেই প্রতিটি গলির সঙ্গে বড় রাস্তার সংযোগস্থল আটকানো হয়েছে বাঁশের ব্যারিকেড এবং লোহার গার্ডরেল দিয়ে। বসেছে পুলিশি প্রহরা। স্থানীয় প্রশাসন সূত্রের খবর, বরাহনগরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডের ডোমবাগান মাঠ এলাকার বাসিন্দা এক প্রৌঢ়ের প্রথমে করোনা সংক্রমণ ধরা পড়ে। পরে কোয়রান্টিনে থাকার সময়ে জানা যায়, তাঁর এক আত্মীয়ও করোনা পজ়িটিভ।

পুরসভা ও পুলিশ সূত্রের খবর, রাস্তার এক দিকে ১১ নম্বর এবং উল্টো দিকে ২৮ নম্বর ওয়ার্ড। সরকারি নির্দেশিকা মেনে ডোমবাগান মাঠকে ঘিরে তার চারপাশের দু’কিলোমিটার এলাকা রয়েছে ‘কোর’ জ়োনে। ওই অংশের পরে আরও পাঁচ কিলোমিটার এলাকা রয়েছে ‘বাফার’ জ়োনে। বরাহনগর পুরসভার চেয়ারপার্সন অপর্ণা মৌলিক বলেন, ‘‘কোর জ়োনে পুলিশ ও পুরসভা যৌথ ভাবে অত্যাবশ্যকীয় জিনিস বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছে। কিন্তু বাফার জ়োনে পুরোপুরি না হলেও যতটা সম্ভব চেষ্টা করা হচ্ছে।’’ তিনি জানান, বাফার জ়োনে নিয়োগীপাড়া ও গোপাললাল ঠাকুর রোডের সংযোগস্থলের এক জায়গায় একটিমাত্র ‘প্রবেশ ও প্রস্থান’ লকগেট করা হয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: রাজ্যের কিছু হাসপাতাল কি হয়ে উঠছে সংক্রমণের ‘হটস্পট’?

বরাহনগর পুলিশ ও পুরসভার কর্তা, আধিকারিক এবং স্থানীয় মুদিখানা, ওষুধের দোকান, আনাজ বিক্রেতা এমনকি পুরো বিষয়টির ব্যবস্থাপনায় থাকা ব্যক্তির ফোন নম্বর-সহ লিফলেট ‘কোর’ জ়োনে বিলি করা হয়েছে। চলছে মাইক নিয়ে প্রচারও। পুর কর্তারা জানান, জরুরি পরিষেবার জন্য যে সব দোকান নির্দিষ্ট করা হয়েছে, তাঁদের পরিষেবার মান ঠিক না-থাকলে পাল্টে দেওয়া হবে। পাশাপাশি সুফল বাংলার গাড়ি এবং স্থানীয় স্তরে মাছ ও আনাজ বিক্রেতাদের ওই দুই এলাকায় নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ঢোকার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।

আরও পড়ুন: কাজ নেই=পয়সা নেই আকালের ভয়াল সঙ্কেতে দিলীপ মাঝির বৃত্তান্ত

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন