মেডিক্যাল কলেজে আগুন লাগার ফলে পাঁচ কোটির ওষুধ নষ্ট হয়েছে।
মেডিক্যাল কলেজে আগুনে কোটি কোটি টাকার ওষুধ নষ্ট। হাসপাতালের পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এই অবস্থায় অন্যান্য মেডিক্যাল কলেজ থেকে ওষুধ এনে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করার চিন্তাভাবনা চলছে।
বুধবার সকালে মেডিক্যাল স্টোরে শর্টসার্কিট থেকে আগুন লেগেছে বলে দমকল সূত্রে খবর। হাসপাতাল সূত্রে খবর, সমস্ত বিভাগের অত্যন্ত ওষুধই সেখানে মজুত করে রাখা হত। ছিল জীবনদায়ী ওষুধও। তীব্র আগুনে প্রায় ৫ কোটি টাকার ওষুধ নষ্ট হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
স্টোরে এখন যে ওষুধ রয়েছে, সেগুলি ব্যবহার যোগ্য নয়। আগুনের তাপে সেগুলি আর কাজে লাগানো যাবে না। ফলে ক্ষতির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। তবে এখন সে সব নিয়ে চিন্তা করার সময় নেই মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। তাঁদের একটাই চিন্তা, কী ভাবে রোগী পরিষেবা স্বাভাবিক রাখা যায়। এখনও দমকল ওই বিল্ডিংয়ে রোগী ভর্তির অনুমতি দেয়নি। মেডিসিন (মেল, ফিমেল), কার্ডিওলজি, হেমাটোলজি সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ রয়েছে।
আরও খবর: আতঙ্কের মেডিক্যালে গ্রুপ-ডি কর্মীরাই হয়ে উঠলেন রোগীদের ত্রাতা
ইতিমধ্যেই ওই এমএসএইচ বিল্ডিং থেকে ২৫০ জন রোগীকে সরিয়ে আনা হয়েছে। এর পর বুধবার নতুন করে রোগী ভর্তির তাদের যাতে অন্য জায়গায় রাখা যায়, তার জন্য যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চলছে। প্রয়োজনে এমার্জেন্সিতেও রাখা হতে পারে। রোগীর চাপ বেশি হলে অন্য মেডিক্যাল কলেজে রেফার করা হতে পারে। তবে যতটা সম্ভব পরিষেবা স্বাভাবিক রাখার চেষ্টা করা হচ্ছে।
আগুনের জেরে নষ্ট হয়ে গিয়েছে স্যালাইনের বোতলও। দমকলের এক আধিকারিক জানালেন, ওষুধ নষ্ট হয়েছে ঠিকই, ব্যান্ডেজ বা তুলোয় আগুন ধরে গেলে আর রক্ষে ছিল না। পরিস্থিতি কোন পর্যায়ে পৌঁছত, তা ভেবেই ভয় লাগছে।
আরও পড়ুন: মেডিক্যাল কলেজে আগুন, হুড়োহুড়িতে এক রোগীর মৃত্যু
যদিও দমকলের তরফে এখনও জানানো হয়নি, ঠিক কী কারণে মেডিক্যালে অগ্নি-কাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। তবে তাদের অনুমান, শর্টসার্টিক থেকে আগুন লাগতে পারে। এ দিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আসার পর ফরেন্সিক দল নমুনা সংগ্রহ করেছে। পাশাপাশি ওই জায়াগয় অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা ঠিক ছিল কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কলকাতার ঘটনা এবং দুর্ঘটনা, কলকাতার ক্রাইম, কলকাতার প্রেম - শহরের সব ধরনের সেরা খবর পেতে চোখ রাখুন আমাদের কলকাতা বিভাগে।