যাত্রীদের সফরে চোখ শুল্ক দফতরের

শুল্ক দফতর সূত্রের খবর, প্রধানত ব্যাঙ্কক রুটেই বিদেশি মুদ্রা পাচার করা হচ্ছে। কলকাতা থেকে কিছু সামগ্রী কিনে একদল ব্যবসায়ী নিয়মিত ব্যাঙ্কক যাতায়াত করছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০১৮ ০২:৫৫
Share:

প্রতীকী ছবি

ডলার পাচারের নিত্যনতুন পন্থা নিচ্ছেন পাচারকারীরা। তা নিয়ে পাচারকারীদের সঙ্গে শুল্ক দফতরের রীতিমতো বুদ্ধির চোর-পুলিশ খেলা শুরু হয়েছে।

Advertisement

চলতি বছরের জানুয়ারিতে দুই ব্যক্তির জুতোর সুখতলার ভিতর থেকে ২ লক্ষ ২৮ হাজার ইউরো পাওয়া যায়। মে মাসে এক ব্যক্তি পায়ুর ভিতরে লুকিয়ে নিয়ে যাচ্ছিলেন ৪৪ হাজার ইউরো। আর ওই মাসের শেষেই পটলের ভিতরে লুকিয়ে পাচার হচ্ছিল ৫৫ হাজার ইউরো। গত সোমবার বিস্কুট ভর্তি প্যাকিং বাক্সের ঢাকনার মাঝ বরাবর চিরে তার ভিতরে রাখা ছিল ডলার। এর পরে ঢাকনাটি আবার আঠা দিয়ে সেঁটে দেওয়া হয়েছিল। শুল্ক দফতরের এক কর্তার কথায়, ‘‘বাইরে থেকে বোঝার কোনও উপায় ছিল না যে ও ভাবে ডলার পাচার করা হচ্ছে।’’

তা হলে ধরলেন কী ভাবে? কর্তাদের দাবি, এখানেই ‘বুদ্ধি’-তে মার খাচ্ছেন পাচারকারীরা।

Advertisement

শুল্ক দফতর সূত্রের খবর, প্রধানত ব্যাঙ্কক রুটেই বিদেশি মুদ্রা পাচার করা হচ্ছে। কলকাতা থেকে কিছু সামগ্রী কিনে একদল ব্যবসায়ী নিয়মিত ব্যাঙ্কক যাতায়াত করছেন। যাওয়ার সময়ে তাঁরা কলকাতা থেকে বিস্কুট, কাসুন্দি, আচার, পাঁপড়, মশলাপাতি নিয়ে যাচ্ছেন। তাইল্যান্ডে প্রবাসী ভারতীয় এবং অন্যদের মধ্যে এ দেশের আচার-চাটনির কদর যথেষ্ট। অনেকে আবার চুমকি বসানো সস্তার জামাকাপড়ও নিয়ে যাচ্ছেন। ব্যাঙ্কক থেকে ফেরার সময়ে এঁরাই মূলত জামাকাপড়, কখনও বৈদ্যুতিন সরঞ্জাম নিয়ে আসছেন। এঁদের মধ্যেই কেউ কেউ জড়িয়ে পড়ছেন পাচারে।

অভিযোগ, যাওয়ার সময়ে পাচারকারী লুকোনো ডলার চেক-ইন লাগেজ হিসেবে বিমানের পেটে পাঠিয়ে দিচ্ছে। একটি হাত ব্যাগ নিয়ে তিনি শুল্ক ও অভিবাসন দফতর পেরিয়ে যাচ্ছেন। শুল্ক কর্তার কথায়, ‘‘আমরা যাত্রীদের কয়েক মাসের সফরসূচি খতিয়ে দেখছি। তাতেই কিছু সন্দেহভাজন জিনিস অভিজ্ঞ চোখে ধরা পড়ছে।’’ শুল্ক কর্তার বক্তব্য, এর বেশি কিছু বললে পাচারকারীরা সে বিষয়েও সতর্ক হয়ে যেতে পারেন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement