Calcutta News

ডাক্তারকে চড়, থানায় ‘অনুতাপ’ অভিযুক্তের

শিশুকন্যার জন্ম দেওয়ার পরে বৃহস্পতিবার ভোরে সিএমআরআই হাসপাতালে মারা যান হাওড়ার বাসিন্দা পিঙ্কিদেবী।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০ ০৪:০৭
Share:

মৃত পিঙ্কি ভট্টাচার্য(বাঁ দিকে)। সিএমআরআই হাসপাতালে চিকিৎসক বাসব মুখোপাধ্যায়কে চড়। ছবি: হাসপাতাল সূত্রে পাওয়া ভিডিয়ো ফুটেজ থেকে।

প্রসূতির মৃত্যুর পরে চিকিৎসককে মারধরের ঘটনায় অভিযুক্তের সঙ্গে রবিবার কথা বলেন তদন্তকারীরা। পুলিশের নোটিস পেয়ে এ দিন আলিপুর থানায় হাজির হন মৃত প্রসূতি পিঙ্কি ভট্টাচার্যের স্বামী এবং চিকিৎসক-নিগ্রহে অভিযুক্ত তপেন ভট্টাচার্য। ওই ঘটনার জন্য তিনি অনুতাপ প্রকাশ করেছেন বলে জানায় পুলিশ। তপেন তদন্তকারীদের কাছে ছিলেন প্রায় এক ঘণ্টা। সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী ও পরিবারের লোকজন।

Advertisement

শিশুকন্যার জন্ম দেওয়ার পরে বৃহস্পতিবার ভোরে সিএমআরআই হাসপাতালে মারা যান হাওড়ার বাসিন্দা পিঙ্কিদেবী। চিকিৎসকের গাফিলতিতে স্ত্রীর মৃত্যু হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন তপেন। অভিযোগ, তপেন তার পরেই চিকিৎসক বাসব মুখোপাধ্যায়কে নিগৃহীত করেন, চড় মারেন। শনিবার অভিযুক্ত ব্যক্তি স্বীকারও করেন যে, তিনি উত্তেজনার বশে চড় মেরেছিলেন। নিগৃহীত চিকিৎসক বাসববাবু আলিপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। পুলিশ মামলা দায়ের করে তদন্তে নামে। শনিবার তপেনকে আলিপুর থানায় ডেকে পাঠানো হলেও সে-দিন তিনি হাজির হননি। পরে পুলিশ আবার তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তার পরেই এ দিন বেলা ১২টা নাগাদ আলিপুর থানায় হাজির হন অভিযুক্ত তপেন।

পুলিশের একটি অংশ জানিয়েছে, তপেন এ দিন তদন্তকারী অফিসারদের কাছে দাবি করেন, আগের দিন তিনি স্ত্রীকে সুস্থ অবস্থায় দেখে গিয়েছিলেন। তার পরে ভোরে স্ত্রীর মৃত্যুর খবর তিনি মানতে পারেননি। চিকিৎসকের কাছে তিনি স্ত্রীর মৃত্যুর কারণ জানতে চান। পুলিশের দাবি, তপেনবাবু জানিয়েছেন, চিকিৎসকের উত্তরে তিনি খুশি হতে পারেননি। উত্তেজনার বশে চিকিৎসককে নিগ্রহ করেছেন বলে তিনি তদন্তকারীদের জানান।

Advertisement

আরও পড়ুন: পরিবহ-নিগ্রহের পুলিশি তদন্তে ‘অসহযোগিতা’ চিকিৎসকদের

লালবাজারের এক পুলিশকর্তা জানান, নিয়ম মেনেই অভিযুক্তকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তিনি পুরো ঘটনার জন্য অনুতপ্ত। তাঁর বয়ান নথিভুক্ত করা হয়েছে। এ বার সেই বয়ান অন্যদের বক্তব্যের সঙ্গে মিলিয়ে দেখা হবে। ফের তপেনকে ডেকে পাঠানো হতে পারে। তবে চিকিৎসক-নিগ্রহের ঘটনায় তাঁকে গ্রেফতার করা হবে কি না, সেই বিষয়ে কোনও পুলিশকর্তাই এ দিন মুখ খুলতে চাননি। তদন্তকারীদের সঙ্গে দেখা করে বেরোনোর সময় কিছু বলতে চাননি তপেন। সেখান থেকে শিশুকন্যাকে দেখতে সিএমআরআই হাসপাতাল যান তিনি। তপেন জানান, শিশুকন্যা এখনও ওই হাসপাতালেই আছে।

পুলিশ জানায়, সে-দিনের ঘটনার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্ত তপেন কোন কথার প্রেক্ষিতে চিকিৎসককে মারধর করেন, তা জানতে সেখানে হাজির থাকা পুলিশকর্মীদের বক্তব্য শোনা হবে। সিএমআরআই কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে তাঁদের বক্তব্য রেকর্ড করেছেন তদন্তকারীরা। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসককেও ডেকে পাঠানোর কথা আছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন