ডাক্তার-নিগ্রহে কর্মবিরতি সাগর দত্তে

সুমিতকে বাঁচাতে গেলে আরও এক ইন্টার্ন মিন্টু দে-কে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারে অভিযুক্তেরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০১৯ ০২:০৭
Share:

জখম ইন্টার্ন মিন্টু দে

ফের ইন্টার্ন নিগ্রহের অভিযোগ ঘিরে কর্মবিরতি শহরের এক সরকারি হাসপাতালে। এনআরএসের পরে ঘটনাস্থল এ বার সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল। জুনিয়র চিকিৎসকদের একাংশের অভিযোগ, ইন্টার্ন নিগ্রহের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরের ভাই। সেই কারণেই ঘটনার দু’দিন পরেও পুলিশ তাঁকে ধরতে গড়িমসি করছে।

Advertisement

জুনিয়র চিকিৎসকদের অভিযোগ, বৃহস্পতিবার রাতে হাসপাতালের মূল প্রবেশপথের কাছে মানসিক ভারসাম্যহীন এক ব্যক্তিকে একদল যুবক মত্ত অবস্থায় মারধর করছিল। তা দেখে ইন্টার্ন-চিকিৎসক সুমিত বসু বাধা দিতে গেলে তাঁর উপরেই চড়াও হয় হামলাকারীরা। সুমিতকে বাঁচাতে গেলে আরও এক ইন্টার্ন মিন্টু দে-কে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক মারে অভিযুক্তেরা। মেডিসিন বিভাগে চিকিৎসাধীন মিন্টুর কানের পর্দা ফেটে যাওয়ার পাশাপাশি পেটে ‘রেকটাস শিথ হেমাটোমা’ হয়েছে বলে খবর। জুনিয়র চিকিৎসকদের প্রশ্ন, এনআরএস-কাণ্ডের পরেও হাসপাতালে পুলিশ ফাঁড়ি তৈরি হল না কেন?

বিক্ষোভকারীদের পাশে দাঁড়িয়ে ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল ডক্টর্স ফোরাম’। শনিবার অধ্যক্ষ হাসি দাশগুপ্তকে একটি স্মারকলিপি জমা দেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা।

Advertisement

সোমবারের মধ্যে দাবিদাওয়া না মিটলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। হাসপাতালের সিনিয়র চিকিৎসকদের বক্তব্য, সাগর দত্তে পিজিটি নেই। হাউজস্টাফ, ইন্টার্ন ও সিনিয়রেরা মিলে রোগীর চাপ সামলান। ফলে সোমবার পরিষেবা ব্যাপক ভাবে ব্যাহত হতে পারে।

এ দিন অধ্যক্ষ বলেন, ‘‘হাসপাতাল চত্বরে নিরাপত্তা জোরদারের প্রশ্নে পুলিশ-প্রশাসনের কাছে বারবার আর্জি জানিয়েছি।’’ ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসি (জোন ২) আনন্দ রায় বলেন, ‘‘ঘটনাটি হাসপাতালের বাইরে ঘটেছে। তিন জনের নামে অভিযোগ হয়েছে। এক জন গ্রেফতার হয়েছে। বাকিদের খোঁজ মেলেনি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন