Dengue

তাপমাত্রা কমলেও কলকাতায় দাঁড়ি নেই ডেঙ্গি সংক্রমণে, চিন্তা ফাঁকা মণ্ডপ নিয়ে

পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত কলকাতা পুর এলাকায় ডেঙ্গি সংক্রমিতের সংখ্যা ন’হাজারের কাছাকাছি। তাঁদের ৮০ শতাংশই দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩০ অক্টোবর ২০২৩ ০৭:১৭
Share:

পথজোড়া: লক্ষ্মীপুজো কেটে যাওয়ার পরেও এখনও রাস্তা আটকে দাঁড়িয়ে দুর্গাপুজোর মণ্ডপ। রবিবার, রাজা রামমোহন রায় রোডে। ছবি: সুমন বল্লভ।

নভেম্বর মাস পড়তে চলেছে। তাপমাত্রাও তুলনামূলক ভাবে কমেছে। কিন্তু ডেঙ্গির
সংক্রমণ কমার লক্ষণ নেই। কলকাতা পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রের খবর, অক্টোবরের প্রথম তিন সপ্তাহের প্রত্যেক সপ্তাহে শহরে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা ছিল এক হাজারের বেশি। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন পুর স্বাস্থ্য বিভাগের চিকিৎসকেরা। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে,
চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত কলকাতা পুর এলাকায় ডেঙ্গি সংক্রমিতের সংখ্যা ন’হাজারের কাছাকাছি। তাঁদের ৮০ শতাংশই দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দা।

Advertisement

সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তে চিন্তা আরও বাড়াচ্ছে না-খোলা পুজো মণ্ডপ। সদ্য দুর্গাপুজো শেষ
হলেও শহরের বেশির ভাগ মণ্ডপ এখনও খোলা হয়নি। আর সেই ফাঁকা মণ্ডপের বাঁশ নিয়ে চিন্তায় পুরসভার স্বাস্থ্য বিভাগের আধিকারিকেরা। এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘এর মধ্যে বৃষ্টি হলে বাঁশের গর্তে জল জমে মশার লার্ভা জন্মানোর আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।’’

পুর স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যাচ্ছে, দক্ষিণ কলকাতার ৯, ১০, ১১, ১২, ১৩ নম্বর বরো
এলাকায় ডেঙ্গির সংক্রমণের হার সর্বাধিক। দিন দুয়েক আগেই এসএসকেএম হাসপাতালের এক চিকিৎসক ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। ওই হাসপাতাল
৯ নম্বর বরোর অন্তর্গত। ওই বরোর একাধিক ওয়ার্ডে বেড়েছে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা। এসএসকেএমের হস্টেলে এখনও পর্যন্ত ২০ জন ডেঙ্গিতে সংক্রমিত। সম্প্রতি হাসপাতাল চত্বরে শ্রমিক আবাসন পরিদর্শন করে দেখা গিয়েছিল, সেখানে প্লাস্টিকের ছাউনি দিয়ে অস্থায়ী ঘর বানিয়ে অবৈধ দখলদারি চলছে। যা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন কলকাতার ডেপুটি মেয়র তথা মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ। তাঁর অভিযোগ ছিল, ওই প্লাস্টিকের ছাউনিতে বৃষ্টির জল জমে সেখানে মশার লার্ভা জন্মানোর আদর্শ পরিবেশ তৈরি হয়েছে। তবে পুরসভার চিকিৎসকেরা একই সঙ্গে এ-ও জানাচ্ছেন, নভেম্বরের পরে তাপমাত্রা কমতে থাকলে ডেঙ্গি সংক্রমণের হারও কমবে বলে তাঁরা আশাবাদী।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন