ক্যান্টিনের বাড়তি খাবার যাবে শিশুদের কাছে

আইআইএম সূত্রের খবর, তাদের মোট চারটি হস্টেল রয়েছে। সেখানে প্রায় ন’শো পড়ুয়া থাকেন। তাঁদের জন্য ক্যান্টিনে প্রতিদিন খাবার তৈরি হয়। কিন্তু অধিকাংশ দিনই কিছু খাবার বাড়তি হয়। তাই ওই বাড়তি খাবার ঝুপড়িবাসী শিশুদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ০১:৩৬
Share:

—ফাইল চিত্র

ক্যান্টিনের বাড়তি খাবার ঝুপড়িবাসী শিশুদের কাছে পৌঁছে দিতে উদ্যোগী হলেন জোকার ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্টের (আইআইএম জোকা) কর্তৃপক্ষ ও পড়ুয়ারা। এক বেসরকারি সংস্থার সঙ্গে যৌথ ভাবে আজ, শুক্রবার থেকে জোকা খালপাড়ের ঝুপড়িতে শুরু হচ্ছে এই উদ্যোগ।

Advertisement

আইআইএম সূত্রের খবর, তাদের মোট চারটি হস্টেল রয়েছে। সেখানে প্রায় ন’শো পড়ুয়া থাকেন। তাঁদের জন্য ক্যান্টিনে প্রতিদিন খাবার তৈরি হয়। কিন্তু অধিকাংশ দিনই কিছু খাবার বাড়তি হয়। তাই ওই বাড়তি খাবার ঝুপড়িবাসী শিশুদের কাছে পৌঁছে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই কাজে উদ্যোগী হয়েছে আইআইএম, সেখানকার পড়ুয়াদের নিয়ে গঠিত কমিটি ইনকা ও একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা। জোকার ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ‘রামানুজন’ হস্টেলের ক্যান্টিন থেকে এই কাজ শুরু হচ্ছে। এর পরে সমস্ত হস্টেলেই তা শুরু হবে। রামানুজন-এর খাবারের দায়িত্বে থাকা আধিকারিক অমৃতা দত্তদাস জানান, হস্টেলে থাকার জন্য পড়ুয়াদের থেকে যে টাকা নেওয়া হয় তার মধ্যেই খাবারের মূল্য ধরা থাকে। তাই সকলের জন্যই প্রতিদিন খাবার তৈরি হয়। কিন্তু অধিকাংশ দিন অনেক পড়ুয়াই সেই খাবার খান না। এর ফলে অনেক খাবার বাড়তি হয়। এ বারে সেই খাবারেরই উপযুক্ত ব্যবহার করা হবে। প্রতিদিন দুপুরে ওই খাবার পৌঁছে দেওয়া হবে শিশুদের কাছে।

ইনকা-র তরফে এমবিএ দ্বিতীয় বর্ষের পড়ুয়া মান্য গাঙ্গোয়ার বলেন, ‘‘ঠিক করেছি, বাড়তি খাবার নষ্ট না করে সেগুলি যাদের প্রয়োজন, তাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া উচিত। তাই এই উদ্যোগ।’’ ওই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার তরফে আসানসোলের একটি কলেজের শিক্ষক চন্দ্রশেখর কুণ্ডু বলেন, ‘‘ইন্টারনেটে আমাদের সংস্থার কাজ দেখে আইআইএম-এর পড়ুয়ারা যোগাযোগ করেন। আমরা যথাসাধ্য সহযোগিতা করছি। আপাতত জোকার খালপাড়ের ঝুপড়িতে থাকা শিশুদের বেছে নেওয়া হয়েছে।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন