যাত্রাপালায় দেদার চা-ঝালমুড়ি, খরচ নিয়ে শুরু বিতর্ক

সরকারি যাত্রা উৎসবেও যা হয়নি তা দেখা গেল দক্ষিণ দমদমের একটি যাত্রা উৎসবে। পাঁচ দিন ধরে যাত্রা দেখতে আসা প্রায় আট থেকে দশ হাজার দর্শককে চা ও ঝালমুড়ি খাওয়ানো হল।

Advertisement

সৌরভ দত্ত

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ জানুয়ারি ২০১৯ ০১:০৩
Share:

যাত্রা উৎসবে চা খেতে ভিড়। ছবি: ফেসবুক থেকে

সরকারি যাত্রা উৎসবেও যা হয়নি তা দেখা গেল দক্ষিণ দমদমের একটি যাত্রা উৎসবে। পাঁচ দিন ধরে যাত্রা দেখতে আসা প্রায় আট থেকে দশ হাজার দর্শককে চা ও ঝালমুড়ি খাওয়ানো হল। ঘটনার পরে স্থানীয় কাউন্সিলর তথা দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ প্রদীপ মজুমদারের মুখের হাসি চওড়া হয়েছে। কারণ ‘জয় যাত্রা উৎসব’ নামে ওই যাত্রা উৎসবের আহ্বায়ক তিনিই। তবে এমন প্রশ্নও উঠেছে যে এত চা ও মুড়ির যোগান হল কী ভাবে?

Advertisement

গত মঙ্গলবার থেকে রবিবার পর্যন্ত দমদম ক্যান্টনমেন্টের হেল্‌থ ইনস্টিটিউটের ময়দানে চলেছে যাত্রার উৎসব। প্রদীপবাবু জানান, ঝালমুড়ি তৈরি করতে প্রতিদিন শুধুমাত্র গড়ে ৫০ কেজি মুড়িই লেগেছে। তার সঙ্গে চানাচুর, আচারের তেল, পেঁয়াজ এবং ধনেপাতা তো ছিলই। শীতের রাতে বিনা টিকিটে চা ও ঝালমুড়ি সহকারে যাত্রা দেখার পরে আমজনতা খুশি হয়েছে ঠিকই। তবে ফিসফাস শুরু হয়েছে স্থানীয় রাজনৈতিক মহলেই। তাঁর বিরোধী শিবিরের অভিযোগ, কাউন্সিলর তো নিজের পকেট থেকে টাকা দেননি, নিশ্চয়ই পুরসভার টাকা নয়ছয় হচ্ছে।

বারাসতে শুক্রবার উদ্বোধন হওয়া সরকারি যাত্রা উৎসবেও এমন

Advertisement

ব্যবস্থা দেখা যায়নি। তবে তাতে দর্শকদের উৎসাহে কোনও ভাটা পড়েনি বলেই খবর।

দক্ষিণ দমদমের রাজনৈতিক মহলে তাই জোর চর্চা শুরু হয়েছে প্রদীপবাবুর এমন উদ্যোগ নিয়ে। কারণ শুধুই তো চা কিংবা ঝালমু়ড়ি নয়। যাত্রা উৎসবের প্রয়োজনীয় খরচের প্রসঙ্গও রয়েছে। তার মধ্যে ছিল প্রতিটি পালার পিছনে গড়ে ৫০ হাজার টাকা করে খরচ। সেই সঙ্গে মণ্ডপ, সাউন্ড, আলো-সহ মোটা অঙ্কের আনুষঙ্গিক খরচও। রাতে দর্শকেরা যাতে সহজেই বাড়ি ফিরতে পারেন, তার জন্য ছিল অটো ও টোটোরও ব্যবস্থাও।

প্রদীপবাবুর ব্যাখ্যা, ‘‘রবীন্দ্রনগর ওয়েলফেয়ার সোসাইটি উৎসব পরিচালনা করে। যাত্রা উৎসবের জন্য স্যুভেনির, স্পনসরশিপ, ডোনেশন নেওয়া হয়েছে। তার অডিটও হয়।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘যে ভাবে ভাবা হচ্ছে তা নয়। শো শুরুর এক ঘণ্টা আগে ওই ব্যবস্থা ছিল। তার মধ্যে যাঁরা পেয়েছেন খেয়েছেন। অত লোক খেয়েছেন বলে মনে হয় না।’’

উৎসবের সভাপতি তথা মন্ত্রী ব্রাত্য বসুর কথায়, ‘‘আমি

তো শুনেছি দলের ছেলেরাই মুড়ি, চানাচুর, ছোলা-এই সব দিয়েছে। এতে অসুবিধার কী আছে?’’

দলের উত্তর ২৪ পরগনার সভাপতি তথা মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘‘বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখতে হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন