বর্ধমানের খাগড়াগড়ে বিস্ফোরণের ঘটনায় ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেটিং এজেন্সি বা এনআইএ ইতিমধ্যেই তদন্তে নেমেছে। আর কলকাতার মানিকতলায় প্রচুর জাল নোট উদ্ধারের ঘটনার তদন্তভার এনআইএ-কে দেওয়ার দাবিতে জনস্বার্থের মামলা হয়েছে কলকাতা হাইকোর্টে। দু’টো ঘটনার মধ্যে কোনও সম্পর্ক আছে কি না, থাকলে সেই সম্পর্কটা কী ও কতটা জানত চাইল উচ্চ আদালত।
গত ২৮ ফেব্রুয়ারি কলকাতার মানিকতলা এলাকা থেকে প্রায় ১০ কোটি টাকার জাল নোট উদ্ধার করে কলকাতা পুলিশের স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। শুধু ভারতীয় টাকার জাল নোট নয়, সেই সঙ্গে পাওয়া যায় বেশ কিছু জাল ইউরো ও জাল ডলারও। জাল নোটের কারবার চালানোর অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় চন্দ্রশেখর জায়সবাল নামে এক ব্যবসায়ীকে। অভিযোগ ওঠে, এটা নিছক ওই এলাকা বা রাজ্যের দুর্বৃত্তদের কাজ হতে পারে না। এর সঙ্গে আন্তর্জাতিক দুর্বৃত্তদল এবং সন্ত্রাসবাদীদের যোগাযোগ আছে। সেই জন্যই পুরো বিষয়টির তদন্তের দায়িত্ব এনআইএ-র হাতে তুলে দেওয়ার দাবি ওঠে। এবং সেই আবেদন জানিয়ে জনস্বার্থে একটি মামলা ঠুকে দেওয়া হয় হাইকোর্টে।
শুক্রবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর ও বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চে সেই মামলার শুনানি ছিল। আবেদনকারীর আইনজীবী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের কাছে ডিভিশন বেঞ্চ জানতে চায়, খাগড়াগড়ের বিস্ফোরণ এবং মানিকতলায় জাল নোট উদ্ধারের ঘটনার মধ্যে যোগাযোগের কোনও প্রাথমিক প্রমাণ আছে কি? যদি তেমন কিছু থেকে থাকে, জাল নোটের ঘটনাতেও তদন্তভার এনআইএ-র হাতে তুলে দেওয়ার ব্যাপারে ডিভিশন বেঞ্চ চিন্তাভাবনা করতে পারে।
দু’টি ঘটনার মধ্যে যোগাযোগের প্রাথমিক প্রমাণ আবেদনকারীর হাতে আছে কি না, তা জানতে চান বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী। তাঁর মন্তব্য, কোনও প্রাথমিক প্রমাণ থেকে থাকলে আবেদনকারীর উচিত সেগুলো এসটিএফের হাতে তুলে দেওয়া। কারণ, এখন ওই সংস্থাই জাল নোট উদ্ধারের তদন্ত করছে।
আইনজীবী সুব্রতবাবু আদালতে জানান, এই ব্যাপারে তিনি একটি অতিরিক্ত হলফনামা আদালতে পেশ করতে চান। ডিভিশন বেঞ্চ তাঁকে সেই হলফনামা দিতে বলেছে।