সরকারি বিজ্ঞপ্তি বাতিলের দাবিতে প্রাণী ও মৎস্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের গড়িয়া ক্যাম্পাসে পড়ুয়াদের অনশনের দু’সপ্তাহ পূর্ণ হল। অনশনে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন চার ছাত্র। তাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ওই পড়ুয়াদের দাবি, রাজ্যের বিভিন্ন ব্লকে মৎস্য সম্প্রসারণ আধিকারিক-সহ সমস্ত উচ্চ পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে চার বছরের মৎস্যবিজ্ঞান কোর্সে উত্তীর্ণ হওয়া বাধ্যতামূলক করতে হবে। অনশনের জেরে বিশ্ববিদ্যালয়ের যাবতীয় পঠনপাঠন ও গবেষণার কাজ থমকে রয়েছে। রাজ্য মৎস্য দফতরের জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, ফিশারিজ এক্সটেনশন অফিসার পদের ৬০ শতাংশে মৎস্যবিজ্ঞানের পড়ুয়াদের সরাসরি নিয়োগ করা হবে। বাকি ৪০ শতাংশ নিয়োগ করা হবে ফিশারিজ ফিল্ড অ্যাসিস্ট্যান্টদের পদোন্নতি দিয়ে। আগে ফিশারিজ এক্সটেনশন অফিসার পদের ৭৫ শতাংশে পদে মৎস্যবিজ্ঞানের পড়ুয়াদের সরাসরি নিয়োগ করা হত। প্রেস ক্লাবে এক সাংবাদিক সম্মেলনে প্রাণী ও মৎস্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা অভিযোগ করেছেন, ‘‘কারিগরি ডিগ্রি না থাকা সত্ত্বেও ফিশারিজ ফিল্ড অ্যাসিস্ট্যান্ট তথা ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিশারিজ-এর বৃত্তিমূলক ডিগ্রিধারীদের সরাসরি নিয়োগ ও পদোন্নতির মাধ্যমে বেশি সুযোগ পাইয়ে দিতে দফতরের কিছু আধিকারিক ও কর্মী তৎপর হয়ে উঠেছেন।’’ অবিলম্বে সরকারি বিজ্ঞপ্তি বাতিল না করলে আমরণ অনশনে বসবেন বলেও হুমকি দিয়েছেন পড়ুয়ারা। অন্য দিকে, মৎস্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের দাবি নস্যাৎ করে স্টেট ফিশারিজ ‘গ্রুপ বি’ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রাজেশ্বর চক্রবর্তী বলেন, ‘‘মৎস্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের দাবি ভিত্তিহীন। ওঁরা গায়ের জোরে আন্দোলন করছেন।’’ সংগঠনের সভাপতি গৌতম আদক বলেন, ‘‘ইন্ডাস্ট্রিয়াল ফিশ অ্যান্ড ফিশারিজ নিয়ে স্নাতক উত্তীর্ণদেরও মৎস্যবিজ্ঞান বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক উত্তীর্ণদের মতো সমান অধিকার প্রাপ্য। তাহলে ফিশারিজ এক্সটেনশন অফিসার পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে আমরাও সমান সুযোগ পাব না কেন?’’