মেয়েকে ধর্ষণে ২০ বছরের কারাদণ্ড

টালা থানা এলাকায় ২০১৭ সালের অক্টোবরে ১৬ বছরের এক কিশোরীকে বার বার ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। অভিযুক্ত ওই কিশোরীর বাবা। মেয়েটি তখন গর্ভবতী। ‘এক্টোপিক প্রেগন্যান্সি’-র জেরে তার প্রাণসংশয় দেখা দিয়েছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০৩:২৫
Share:

—প্রতীকী ছবি।

মেয়েটি তখন মাধ্যমিকে অঙ্ক পরীক্ষায় বসেছে। তার হয়ে কোর্টে গিয়েছিলেন মা ও দিদি। ওই নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে সোমবার তার বাবার ২০ বছরের কারাদণ্ড ঘোষণা করলেন বিচারক। শিয়ালদহ পকসো বিশেষ আদালতের বিচারক জীমূতবাহন বিশ্বাস এই রায় ঘোষণা করেন।

Advertisement

টালা থানা এলাকায় ২০১৭ সালের অক্টোবরে ১৬ বছরের এক কিশোরীকে বার বার ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। অভিযুক্ত ওই কিশোরীর বাবা। মেয়েটি তখন গর্ভবতী। ‘এক্টোপিক প্রেগন্যান্সি’-র জেরে তার প্রাণসংশয় দেখা দিয়েছিল। সরকারি কৌঁসুলি বিবেক শর্মা আদালতে জানিয়েছেন, তীব্র যন্ত্রণায় মেয়েটি তার দিদিকে সব খুলে বলে। আদালত সূত্রের খবর, তদন্তকারী অফিসার মানসী মাইতি রায় তখনই মেয়েটির বাবাকে গ্রেফতার করেন।

পুলিশ সূত্রের খবর, মেয়েটির বাবা পুরসভার সাফাইকর্মী ছিলেন। বয়স ৬৫। আর জি করের সামনে ফুটপাতে পরিবারটি ভাতের হোটেল চালায়। বিচারক তাঁর রায়ে ধর্ষণকারীকে ২০ বছরের কারাদণ্ড ছাড়াও দু’লক্ষ টাকা জরিমানা করেছেন। অনাদায়ে সাজার মেয়াদ এক বছর বাড়বে। এ ছাড়া, জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষকে মেয়েটিকে পাঁচ লক্ষ টাকা সাহায্যের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement