BJP Nabanna March

সরকারের চাপে হাসপাতাল ভর্তি নেয়নি আহত স্ত্রীকে! অভিযোগ আরজি করে নির্যাতিতার বাবার

শনিবার আরজি কর কাণ্ডের এক বছরের মাথায় মেয়ের ধর্ষণ এবং হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে পথে নেমেছিলেন নিহত চিকিৎসকের মা-বাবা। নবান্ন অভিযানে বিজেপি নেতা এবং কর্মীদের সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ নির্যাতিতার মায়ের গায়েও হাত তোলে বলে অভিযোগ।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ অগস্ট ২০২৫ ১৩:০৭
Share:

আক্রান্ত নির্যাতিতার মা। অভিযোগ, পুলিশের লাঠিতে কপাল ফুলেছে। —ফাইল চিত্র।

নবান্ন অভিযানে গিয়ে ‘পুলিশের হাতে জখম’ আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে ধর্ষিতা এবং খুন হওয়া চিকিৎসকের মা। নির্যাতিতার বাবার অভিযোগ, জখম স্ত্রীকে কলকাতার বাইপাসের ধারে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছিলেন তাঁরা। চিকিৎসা করা হলেও তাঁর স্ত্রীকে ভর্তি নেয়নি সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল। নেপথ্যে রাজ্য সরকারের ‘চাপ’ ছিল বলে দাবি করলেন তিনি।

Advertisement

রবিবার নির্যাতিতার বাবা বলেন, ‘‘শনিবার থেকে আজ (রবিবার) পর্যন্ত পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা চলছে (স্ত্রীর)। চিকিৎসা শুরু হলেও ওঁকে ভর্তি নেওয়া হয়নি।’’ তিনি জানান, বর্তমানে স্ত্রীর অবস্থা স্থিতিশীল। তিনি জানান, দুপুরেই হাসপাতাল থেকে ছাড়িয়ে স্ত্রীকে বাড়ি নিয়ে যাবেন।

শনিবার আরজি কর কাণ্ডের এক বছরের মাথায় মেয়ের ধর্ষণ এবং হত্যাকাণ্ডের বিচার চেয়ে পথে নেমেছিলেন নিহত চিকিৎসকের মা-বাবা। নবান্ন অভিযানে বিজেপি নেতা এবং কর্মীদের সঙ্গে পুলিশ নির্যাতিতার মায়ের গায়েও হাত তোলে বলে অভিযোগ। মহিলা জানান, তাঁর কপাল এবং পিঠে আঘাত লেগেছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, পুলিশ ওই মহিলাকে মারধর করেছে। ধাক্কাধাক্কি করেছে নির্যাতিতার বাবাকেও।

Advertisement

নিহত চিকিৎসকের মাকে নিয়ে যাওয়া হয় বাইপাসের ধারের একটি হাসপাতালে। কিন্তু সেই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রাজ্য সরকারের ‘চাপে’ রোগীকে ভর্তি নিতে চাননি বলে অভিযোগ করেছেন নির্যাতিতার বাবা। তিনি বলেন,‘‘ডাক্তারেরা মোটামুটি জানিয়ে দিয়েছেন, রোগী ‘আউট অফ ডেঞ্জার’ (বিপন্মুক্ত)। সেই জন্য আমরা বলেছি, ‘হাসপাতালে থাকা তো অসুবিধার, আমরা আর হাসপাতালে থাকব না।’ দুপুরের মধ্যে হাসপাতাল থেকে ছাড়িয়ে বাড়ি নিয়ে যাব।’’ প্রৌঢ় আরও বলেন, ‘‘আমাদের সঙ্গে ডাক্তাররা তো সব সময়ই যোগাযোগ রাখছেন। চিকিৎসার কোনও অসুবিধা হবে না।’’ আরজি করের নির্যাতিতার বাবার এই অভিযোগ প্রসঙ্গে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের প্রতিক্রিয়া নেওয়ার চেষ্টা করছে আনন্দবাজার ডট কম। তাঁদের বক্তব্য পেলে প্রতিবেদনটি আপডেট করা হবে।

অন্য দিকে, পুলিশের মারেই নির্যাতিতার মা আহত হয়েছেন কি না, এ নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে কলকাতা পুলিশ। রবিবার কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা জানান, ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে ড্রোন ক্যামেরায় প্রাপ্ত ছবি— সবই খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। যদি নির্যাতিতার পরিবারের তরফে লিখিত অভিযোগ দায়ের না হয়, সে ক্ষেত্রেও স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে অভিযোগের সত্যতা যাচাই করা হবে। পুলিশ কমিশনার নির্যাতিতার মায়ের আহত হওয়ার বিষয়টিকে ‘দুঃখজনক’ বলে মন্তব্য করেন। পাল্টা নির্যাতিতার বাবা বলেন, ‘‘সহানুভূতির (পুলিশের) প্রয়োজন নেই।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement