বলির মাংসের ভাগ নিয়ে মারামারি, ধৃত দুই

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ঘটনার সূত্রপাত শনিবার রাত ১০টা নাগাদ। পেয়ারাবাগান বস্তির পুরনো শীতলাপুজোয় প্রতি বছর পাঁঠা বলি হয়। সেই মাংসের ভাগ কে বেশি পাবে, তা নিয়েই বিবাদের শুরু।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৩ জুন ২০১৯ ০১:৩৯
Share:

ঝামেলা সামলাতে এলাকায় পুলিশ। রবিবার। নিজস্ব চিত্র

যে পুজোর জন্য চিকিৎসককে জুতো খুলে রাস্তা পার হওয়ার নিদান দিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছিল পুলিশ, সেই পুজো ঘিরেই ২৪ ঘণ্টার মধ্যে উত্তেজনা ছড়াল বালিগঞ্জের পেয়ারাবাগান বস্তিতে। বালিগঞ্জ থানার পাশাপাশি আশপাশের বেশ কয়েকটি থানা এবং লালবাজার থেকে বাহিনী পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হয় পুলিশকে। রবিবার রাত পর্যন্ত কৃষ্ণ শর্মা এবং কেশব হালদার নামে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে আরও কয়েক জনকে।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ঘটনার সূত্রপাত শনিবার রাত ১০টা নাগাদ। পেয়ারাবাগান বস্তির পুরনো শীতলাপুজোয় প্রতি বছর পাঁঠা বলি হয়। সেই মাংসের ভাগ কে বেশি পাবে, তা নিয়েই বিবাদের শুরু। নীতু সাউ নামে এক মহিলা বলেন, “আমার ভাই সানি মাংস পরিবেশন করছিল। কমিটিতে সিদ্ধান্ত হয়েছে, প্রত্যেককে দু’টুকরো করে মাংস দেওয়া হবে। কেশব দাবি করে, সে কমিটির মাথা। ফলে সে যত চাইবে, তাকে তত মাংসই দিতে হবে। ভাই রাজি না হওয়ায় রাতে ওকে মারধর করে। সকালে ওকে একা পেয়ে ফের বেধড়ক মেরেছে।’’

অভিযোগ, মারের চোটে সানির চোখের উপর এবং ঠোঁট ফেটে যায়। কেশব ও তাঁর দলবল সানির পোশাকও ছিঁড়ে দেন। স্থানীয়েরা সানিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়। মারধরের ঘটনায় উত্তেজিত স্থানীয়েরা কেশব এবং তাঁর সঙ্গীদের বাড়ি ভাঙতে যান। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে একটি বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে কেশব ও তাঁর সহযোগীকে। আদিত্য দে নামে এক বাসিন্দা বলেন, “কেশবেরা রাজনীতি করে। সেই জোরেই এলাকায় দাপায়। পুলিশ কড়া ব্যবস্থা নিক।”

Advertisement

কয়েক বছর আগেই দুই পাড়ার গোলমালে এমনই উত্তেজনা ছড়িয়েছিল এই বস্তিতে। গত বছরই ওই এলাকা দিয়ে রাতে গাড়িতে যাওয়ার সময়ে এক তরুণী ও তাঁর পরিবারকে রাস্তায় ফেলে মারধর করার অভিযোগ ওঠে। এমনকি, ওই পাড়ারই কয়েক জনের বিরুদ্ধে নেতাজির বাড়ি গিয়ে হুমকি দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছিল। আবার শনিবারই এলাকার পুজোর জন্যই ল্যান্সডাউনের এক বেসরকারি হাসপাতালের চিকিৎসককে জুতো-মোজা খুলিয়ে রাস্তা পার হতে বলে বিতর্কে জড়িয়েছে পুলিশ। পরে বালিগঞ্জ থানার তরফে চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করে ওই ঘটনায় দুঃখপ্রকাশও করা হয়।

রাতে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে সানি বলেন, ‘‘ওরা থানা থেকে বেরিয়েই আবার মারবে। কেউ আটকানোর নেই!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন