কেন্দ্রীয় আবাসন ঘুরে অসন্তুষ্ট মেয়র

দিন কয়েক আগে ওই এলাকারই আট বছরের এক বালিকা প্রজ্ঞা সাহা ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০২:১২
Share:

ফিরহাদ হাকিম।

কেন্দ্রীয় পূর্ত দফতরের (সিপিডব্লিউডি) ১৬ তলা আবাসন। উপরের তল থেকে নোংরার পুঁটলি পড়ছে আবাসনের নীচে। চত্বরেই জমছে ডাবের খোলা, প্লাস্টিকের কাপ-ডিশ, থার্মোকল, মদের বোতল-সহ অনেক কিছু। যা পড়ে থেকে জঞ্জালের স্তূপে পরিণত হচ্ছে। বৃষ্টি হলেই সেখানে জমে যায় জল। সেই জমা জলে অবাধে জন্মাচ্ছে মশা। মঙ্গলবার দক্ষিণ কলকাতার ৯৭ নম্বর ওয়ার্ডের ওই আবাসন পরিদর্শনে গিয়ে এমনই দৃশ্য নজরে এল কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের। এ দিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন ডেপুটি মেয়র তথা পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ এবং পুরসভার দল। ওই পরিস্থিতি দেখে রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেন তাঁরা।

Advertisement

দিন কয়েক আগে ওই এলাকারই আট বছরের এক বালিকা প্রজ্ঞা সাহা ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে বলে জানান স্থানীয় বাসিন্দারা। স্বভাবতই ডেঙ্গিবাহী এডিস ইজিপ্টাইয়ের আতঙ্কে ভুগছেন আবাসনটির আশপাশে থাকা বাসিন্দারাও। সেই আশঙ্কা কাটাতে এ দিন মেয়র, ডেপুটি মেয়র যৌথ ভাবে পরিদর্শনে যান। ওই আবাসনের সদর পেরিয়ে ঢুকতেই নজরে পড়ে আবর্জনার স্তূপ। স্থানীয়েরাই তাঁদের জানান, আবাসনের উপর তলা থেকে সেই সব জঞ্জাল নীচে ফেলা হয়। ডাবের খোলা দেখিয়ে মেয়র নিজে বাসিন্দাদের জানান, ভিতরে জমা জলে তো মশা জন্মাচ্ছে। তা-ও কেউ
সতর্ক নন!

প্রশ্ন উঠেছে, বছরভর সচেতনতার কথা বলার পরেও কেন এ সব হচ্ছে? অথচ ইতিমধ্যেই পুর প্রশাসন বার কয়েক রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন সংস্থাকে নিয়ে পুর ভবনে বৈঠক করেছে। ডেঙ্গি সতর্কতায় সংস্থাগুলির দায়িত্বে থাকা আবাসন, অফিস, স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর পরিচ্ছন্ন রাখার কথাও বলা হয়েছে। তবুও কেন্দ্রীয় সংস্থার ওই আবাসন এত নোংরা কেন?

Advertisement

অতীনবাবু বলেন, মাস তিনেক আগে ওই আবাসন কর্তৃপক্ষকে এলাকা অপরিষ্কার রাখার কারণে ৪৯৬এ ধারায় নোটিস দেওয়া হয়েছিল। এ বার ওই আবাসনের ১৩টি বিল্ডিংয়ে আলাদা করে নোটিস দেওয়া হচ্ছে। মেয়র জানান, খুব শীঘ্রই এ নিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিবের সঙ্গে বসা হবে। ওই কেন্দ্রীয় সংস্থার গাফিলতিতে এই পরিস্থিতি হবে কেন?
তাদের প্রতিনিধিদের ডেকে তা জানতে চাওয়া হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন