সামনেই পিষে মৃত তরুণী, চম্পট প্রেমিকের

বুধবার রাতে মহেশতলা থানা এলাকার সারেঙ্গাবাদে ট্রেলারের চাকায় পিষে এক তরুণীর মৃত্যু হয়। ঘটনার পরে ট্রেলারের চালক গ্রেফতার হন। ধৃত চালক জানান, একটি স্কুটার ধাক্কা মারে তাঁর ট্রেলারে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০১৮ ০৩:০২
Share:

মারিয়াটা এক্কা

প্রেমিকের স্কুটার থেকে পড়ে গিয়েই হাওড়ার চ্যাটার্জিহাট থানার বাসিন্দা, বত্রিশ বছরের তরুণী মারিয়াটা এক্কার মৃত্যু হয়েছে বলে জানাল পুলিশ।

Advertisement

বুধবার রাতে মহেশতলা থানা এলাকার সারেঙ্গাবাদে ট্রেলারের চাকায় পিষে এক তরুণীর মৃত্যু হয়। ঘটনার পরে ট্রেলারের চালক গ্রেফতার হন। ধৃত চালক জানান, একটি স্কুটার ধাক্কা মারে তাঁর ট্রেলারে। তার পরেই স্কুটার থেকে পড়ে গিয়ে ট্রেলারের পিছনের চাকায় পড়ে যান ওই তরুণী। স্কুটারের চালক সঙ্গে সঙ্গে পালিয়ে যান বলেও দাবি করেন ধৃত ট্রেলার-চালক। ওই ঘটনার পরে মৃত তরুণীর পরিচয় জানা যায়নি।

পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার সকালে প্রমীলাপ্রতিমা এক্কা নামের এক মহিলা এক তরুণীর ছবি নিয়ে মহেশতলা থানায় এসে জানান, তাঁর বোন বুধবার রাত থেকে নিখোঁজ। তাঁরা দুর্ঘটনার খবর পেয়েছেন বলে দাবি করেন। এর পরেই মর্গে গিয়ে বুধবার রাতের দুর্ঘটনায় মৃত অজ্ঞাতপরিচয় ওই তরুণীর দেহ নিজের ছোট বোন বলে শনাক্ত করেন প্রমীলা। তদন্তকারীরা জানান, বুধবার সন্ধ্যায় এক পরিচিতের কাছে যাচ্ছেন বলে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন মারিয়াটা। তার পর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি।

Advertisement

মারিয়াটার পরিবারের কথায়, বুধবার রাত থেকে তাঁর মোবাইলে ফোন করা হচ্ছিল। কখনও ফোনটি বেজে যাচ্ছিল, কখনও সুইচড অফ ছিল। তাঁদের দাবি, শুক্রবার বিকেলে একটি অচেনা নম্বর থেকে ফোন আসে। এক পুরুষকণ্ঠ জানায়, তাঁদের মেয়ের দুর্ঘটনা ঘটেছে। মহেশতলা থানায় যেন যোগাযোগ করা হয়। এর পরেই শনিবার থানায় আসেন ওই যুবতীর আত্মীয়েরা। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা গিয়েছে, মহেশতলা এলাকায় এক যুবকের সঙ্গে মারিয়াটার প্রেম ছিল। তবে ওই যুবককে তাঁরা কেউই দেখেননি। তাঁরা জানান, বুধবার প্রেমিকের সঙ্গেই দেখা করতে গিয়েছিলেন মারিয়াটা। তদন্তকারীদের কথায়, ট্রেলারের চালকের বয়ান অনুযায়ী, স্কুটারের চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ট্রেলারে ধাক্কা মারেন। তখন ওই তরুণী ছিটকে পড়ে যান। ট্রেলারের পিছনের চাকায় তাঁর মাথা পিষে যায়। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। এর পরেই কাত হয়ে যাওয়া স্কুটারটি তুলে চম্পট দেন চালক। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের অনুমান, ওই পুরুষসঙ্গীই মহেশতলা থানায় যোগাযোগ করার জন্য ফোনে জানিয়েছিলেন বাড়িতে।

মারিয়াটার আত্মীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে ওই যুবককে শনাক্ত করা গিয়েছে বলে দাবি করেছেন তদন্তকারীরা। অনুমান, স্কুটার থেকে পড়ে প্রেমিকার দুর্ঘটনা দেখার পরে ভয়েই চম্পট দিয়েছিলেন ওই যুবক। তবে ওই ঘটনার পিছনে কোনও ষড়যন্ত্র রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, তরুণীর পুরুষসঙ্গীর খোঁজ চলছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন