ভাঙচুর: পথ না-ছাড়ার রাগে এ ভাবেই ভেঙে দেওয়া হয়েছে সরকারি বাসের উইন্ডস্ক্রিন। সোমবার, কালীঘাটে। নিজস্ব চিত্র
সোমবার সকাল সাড়ে দশটা। কালীঘাট ট্রাম ডিপোর সামনে দক্ষিণবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণের (এসবিএসটিসি) একটি বাসের পথ আটকে আড়াআড়ি ভাবে গাড়ি দাঁড় করিয়ে তা থেকে নেমে এল এক যুবক। কোনও কথা না বলে এগিয়ে গিয়ে বাস থেকে নামিয়ে আনল চালককে। তার পরেই শুরু হল চড়-থাপ্পড়। বাসের যাত্রী থেকে শুরু করে রাস্তার লোকজন হতবাক। তখনও তাঁরা ঠাহর করতে পারেননি কী হয়েছে!
পরে যখন বুঝতে পারলেন, সকলেই থ! বাসের চালক নাকি ওই প্রাইভেট গাড়িটিকে জায়গা দিচ্ছিলেন না। তার জন্যই মারধর। তাতেই অবশ্য থেমে থাকেনি ওই যুবক। বাসচালককে মারধরের পরে নিজের গা়ড়ি থেকে একটি লোহার রড বার করে সরকারি বাসের সামনের কাচ ভেঙে দেয় সে। এত ক্ষণ ভিতরে বসে থাকলেও ওই দৃশ্য থেকে যাত্রীরা আতঙ্কে বাস থেকে নেমে পড়েন।
তবে মারধর এবং গাড়ি ভাঙচুর করে পালাতে পারেনি ওই যুবক। ট্র্যাফিক পুলিশের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় কালীঘাট থানার পুলিশ। বাসচালক প্রণবকুমার মণ্ডলের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ গ্রেফতার করে ওই গাড়িচালককে। তার নাম সন্তোষ শীল। ওড়িশার বাসিন্দা সন্তোষ হাওড়ায় থাকে এবং সেখানকারই এক জনের গাড়ি চালায়।
গ্রেফতারের পরে সন্তোষের দাবি, সে হাজরা মোড় থেকে বারবার হর্ন দিচ্ছিল বাসটিকে। বাসটি কিছুতেই তাকে পাশ কাটিয়ে বেরোতে দিচ্ছিল না। তাই হঠাৎ করে তার মাথা গরম হয়ে গিয়েছিল। মনে হয়েছিল, বাসের চালককে ‘শিক্ষা’ দেওয়া দরকার। সন্তোষের এই অভিযোগ স্বীকার করেছেন বাসচালক। তবে তাঁর দাবি, বাঁ দিকে জায়গা ছিল না বলেই তিনি সরতে পারেননি। কালীঘাটে এসে জায়গা পেয়েই তিনি বাঁ দিকে সরে গিয়ে গা়ড়িটিকে জায়গা ছেড়ে দেন।