বঙ্কিম সেতুতে বসেছে হাট। মঙ্গলবার, হাওড়ায়। ছবি: দীপঙ্কর মজুমদার
মড়ার উপরে খাঁড়ার ঘা।এমনিতেই হাওড়া ময়দান এলাকায় অসমাপ্ত ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর কাজ বন্ধ থাকায় রাস্তা সঙ্কীর্ণ হয়ে গিয়েছে। তার উপরে পুজোর আগে শেষ মঙ্গলবার হঠাৎই মঙ্গলাহাটের ব্যবসায়ীরা বঙ্কিম সেতুর উপরে বসে পড়লেন। ক্রেতা-বিক্রেতাদের ভিড়ে গোটা এলাকায় তুমুল যানজট তৈরি হয়। পরিস্থিতি সামলাতে নাজেহাল হল পুলিশ।
পুলিশ জানায়, এ দিন হাওড়া ময়দান ছাড়িয়ে বঙ্কিম সেতুর ফুটপাতে বসে পড়েন কয়েক’শো হকার। ফলে সেতুর দু’টি ফুটপাত দিয়েই হাঁটাচলা বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ গিয়ে অবশ্য তাঁদের সরিয়ে দেয়।
২০১১ সাল থেকেই বঙ্কিম সেতুর উপরে মঙ্গলাহাট বসা বন্ধ। ব্যবসায়ীরা সেতুর নিচেই ব্যবসা করেন। এ দিন সেই হাট উঠে গেল সেতুর উপরে।
দুর্গাপুজোর আগে শেষ হাটে এ দিন সকাল থেকেই ক্রেতাদের ঢল নামে। যে জায়গাকে ঘিরে হাট বসে, সেই হাওড়া ময়দান এলাকা হল শহরের প্রাণকেন্দ্র। গত ১০ বছর ধরে মেট্রোর কাজ চলায় এলাকাটির রাস্তা এমনিতেই সঙ্কীর্ণ হয়ে পড়েছে। তারই মধ্যে দিয়ে গাড়ি চলাচল করে। বিপদ সঙ্গে নিয়ে যাতায়াত করতে হয় পথচারীদেরও।
এ দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা গেল, সকাল থেকে আসা ক্রেতা-বিক্রেতার ভিড়ে কার্যত অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে গোটা হাওড়া ময়দান চত্বর। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গেই পাল্লা দিয়ে ভিড় বাড়তে থাকায় যানজট তীব্র আকার নেয়। বাস, ট্যাক্সি, অটো, ট্রলি ভ্যান, রিকশার সঙ্গে বেআইনি টোটোর দখলে চলে যায় গোটা এলাকা। পরিস্থিতি সামলাতে হাওড়া সিটি পুলিশের ট্র্যাফিক দফতরের পদস্থ কর্তারা পথে নামেন।
হাওড়া ট্র্যাফিক পুলিশের এক কর্তা এ দিন বলেন, ‘‘হাওড়ার বিভিন্ন প্রান্তে চলা টোটো হাওড়া ময়দানে চলে আসছে। তাতে সমস্যা বাড়ছে। টোটোর হাওয়া খুলে দিয়ে আটকানোর চেষ্টা হয়। এ দিকে হাট প্রায় রাস্তায় নেমে যাওয়ায় সমস্যা বেড়ে গিয়েছে। তাই মঙ্গলাহাটকে অবিলম্বে স্থানান্তরিত করা প্রয়োজন।’’