ছেলের বিরুদ্ধে বাবার দায়ের করা মামলার শুনানি চলাকালীন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি নাদিরা পাথেরিয়া ছেলের উদ্দেশে মন্তব্য করলেন, “হয় টাকা ফেরত দিন, না হয় ঘর ছেড়ে দিন।” মঙ্গলবার আদালতে পাথেরিয়া আরও বলেন, “এখন আপনার বয়স ৪০। গলায় যে জোর আছে, ৮০ বছরে তা থাকবে? তখন মৃত্যুভয় গ্রাস করবে।”
ঠাকুরপুকুর থানার সিস্টার নিবেদিতা রোডের বাসিন্দা আশি বছরের বৃদ্ধ হারাধন সাহা তাঁর ছেলে পার্থর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে মামলা করেন। হারাধনবাবুর দোতলা বাড়ি। তিনি দোতলায় থাকেন। একতলায় থাকেন তাঁর ছেলে। একতলার একটি ঘরে ব্যবসা রয়েছে পার্থর।
হারাধনবাবুর অভিযোগ, তাঁর ছেলে ব্যবসার জন্য ২০০৪ সালে কয়েক লক্ষ টাকা ধার নেন। সেই টাকা শোধ না করায় তিনি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন। বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ২০১৩ সালের ১২ ডিসেম্বর ছেলেকে দেনার টাকা বাবাকে মেটাতে নির্দেশ দেন। বাবার অভিযোগ, ছেলে কিছু অংশ মেটালেও বাকিটা মেটাচ্ছেন না। টাকা ফেরত চাইলে বাড়িতে গোলমাল পাকাচ্ছে। এ দিন ওই মামলারই শুনানি ছিল। বিচারপতি পাথেরিয়া আগেই নির্দেশ দিয়েছিলেন, বাবা ও ছেলেকে তাঁর এজলাসে হাজির হতে। পার্থ তাঁর সামনে হাজির হলে ওই মন্তব্য করেন বিচারপতি পাথেরিয়া। পার্থর আইনজীবী শ্রীজীব চক্রবর্তী জানান, এ দিন আদালত নির্দেশ দিয়েছে, পার্থকে প্রতি মাসে ৫ হাজার টাকা দেনা মেটাতে হবে। এ ছাড়া যে ঘরে পার্থ ব্যবসা করেন, তার ঘরভাড়া বাবদ আরও ৫ হাজার টাকা দিতে হবে। কারণ, ওই সম্পত্তি অন্য কাউকে ভাড়া দিলে হারাধনবাবুর আয় হত।