হাসপাতালেই পরীক্ষা দিল দুই ছাত্রী

পুলিশ জানিয়েছে, এক ছাত্রী নার্সিংহোম থেকেই পরীক্ষা দেয়। অন্য জন হাসপাতালে পরীক্ষা দিতে দিতে ফের অসুস্থ বোধ করায় আর লেখা শেষ করতে পারেনি। সে ওই হাসপাতালেরই আইসিইউ-তে ভর্তি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ এপ্রিল ২০১৮ ০৩:২২
Share:

শহরের দুই প্রান্তের দু’টি স্কুল। সোমবার দু’জায়গাতেই চলছিল উচ্চ মাধ্যমিকের ইতিহাস পরীক্ষা।
পরীক্ষা চলাকালীন অল্প সময়ের ব্যবধানে দুই স্কুলেই অসুস্থ হয়ে পড়ে দুই পরীক্ষার্থী। অবস্থা ক্রমশ খারাপ হতে থাকায় খবর যায় পুলিশের কাছে। একটি ক্ষেত্রে স্কুলের গাড়ি, অন্য স্কুলে পুলিশের অ্যাম্বুল্যান্সে চাপিয়ে দুই অসুস্থ ছাত্রীকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। পথে যাতে যানজটের কারণে কোনও ভোগান্তি না হয়, সে জন্য তৈরি ছিল ট্র্যাফিক পুলিশও।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, এক ছাত্রী নার্সিংহোম থেকেই পরীক্ষা দেয়। অন্য জন হাসপাতালে পরীক্ষা দিতে দিতে ফের অসুস্থ বোধ করায় আর লেখা শেষ করতে পারেনি। সে ওই হাসপাতালেরই আইসিইউ-তে ভর্তি। তবে দু’জনের জন্যই উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের তরফে অতিরিক্ত সময়ের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।

পুলিশ জানায়, এ দিন পরীক্ষা শুরুর আধ ঘণ্টার মধ্যে ঠাকুরপুকুর থানার বড়িশা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে অচৈতন্য হয়ে পড়ে শর্মিষ্ঠা দাস। সে সারদা শ্রীমন্ত বিদ্যাপীঠের ছাত্রী। বড়িশার ওই স্কুল থেকে খবর যায় ঠাকুরপুকুর থানায়। প্রাথমিক শুশ্রূষার পরেও সুস্থ বোধ না করায় স্কুলের গাড়িতে করে শর্মিষ্ঠাকে নিয়ে যাওয়া হয় এম আর বাঙুর হাসপাতালে। সঙ্গে যান দুই মহিলা পুলিশকর্মী।

Advertisement

লালবাজার জানিয়েছে, ওই ছাত্রীকে নিয়ে যাওয়ার সময়ে যাতে যানজটে পড়তে না হয়, সে জন্য ঠাকুরপুকুর থেকে টালিগঞ্জ পর্যন্ত যাত্রাপথে ট্র্যাফিক পুলিশকর্মীদের সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল। হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে খানিকটা সুস্থ হওয়ায় সেখান থেকেই পরীক্ষা দিতে রাজি হয় শর্মিষ্ঠা। তবে পুলিশ জানিয়েছে, এক ঘণ্টা পরীক্ষা দেওয়ার পরে ফের সে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। এর পরে ডাক্তারদের পরামর্শে তাকে ওই হাসপাতালেরই আইসিইউ-তে ভর্তি করা হয়।

অন্য দিকে, ওয়াটগঞ্জের সারদা পাল গার্লস হাইস্কুলে দেড় ঘণ্টা পরীক্ষা দেওয়ার পরে শ্বাসকষ্ট শুরু হয় রুকসার পরভিন নামে এক পরীক্ষার্থীর। সে একবালপুরের মুসলিম হাইস্কুলের ছাত্রী। লালবাজার জানায়, ওই ছাত্রীর অসুস্থতার খবর পেয়ে পুলিশের অ্যাম্বুল্যান্স নিয়ে স্কুলে পৌঁছে যান ওয়াটগঞ্জ থানার কর্মীরা। রুকসারের মা-বাবার সঙ্গে দুই মহিলা পুলিশকর্মী তাঁকে নিয়ে যান একবালপুরের এক নার্সিংহোমে। প্রায় এক ঘণ্টা চিকিৎসার পরে খানিকটা সুস্থ হয় ওই ছাত্রী। শেষে নার্সিংহোমেই দুপুর দেড়টার পর থেকে অতিরিক্ত সময় পরীক্ষা দেয় সে। পরীক্ষা শেষে পুলিশি প্রহরায় দুই পরীক্ষার্থীর খাতাই তাদের স্কুলে পৌঁছে দেওয়া হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন