ক্রমশই প্রভাবশালী-যোগ জোরাল হচ্ছে।
জুনিয়ার মৃধা খুনে সিবিআই তদন্তে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। ক্রমশই প্রভাবশালী-যোগ জোরাল হচ্ছে। প্রিয়াঙ্কাকে গ্রেফতার করা হলেও এই ঘটনার নেপথ্যে আরও অনেকে যুক্ত থাকতে পারেন বলে মনে করছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। জুনিয়র বাড়ি থেকে বেরনোর পর ৩ ঘণ্টার মধ্যে খুন হন। তাঁর সঙ্গে ছিলেন এক ব্যক্তিও। প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেছিল জুনিয়র। এই ৩ ঘণ্টার মধ্যেই লুকিয়ে জুনিয়র খুনের রহস্য। এমনটাই মনে করেছে সিবিআই।
তদন্তে কী কী তথ্য উঠে আসছে? ঘটনার দিন রাত ৮ টা নাগাদ জুনিয়র বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। বাবা-মাকে বলেন তিনি মুন (প্রিয়াঙ্কা চৌধুরী)-এর সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছেন। বাড়ি থেকে একাই বেরিয়েছিলেন জুনিয়র। এর ৪৫ মিনিট পর সল্টলেকের ৯ নম্বর ট্যাঙ্কের কাছে পেট্রল পাম্পের সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায় বাইক নিয়ে যাচ্ছেন তরুণ সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়র। মাথায় হেলমেট ছিল। ওই ফুটেজে বাইকের পিছনে এক ব্যক্তিকে বসে থাকতে দেখা যায়। যদিও সিসি ক্যামেরার ফুটেজে ওই ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা যায়নি।
সিবিআই নজরে রয়েছেন ওই ব্যক্তি। রাত ৯টা ৪০ মিনিট নাগাদ প্রিয়াঙ্কাকে এসএমএস করেন জুনিয়র। সিবিআই সূত্রে খবর, এসএমএসে জুনিয়র লেখেন, ‘জয়দীপ বাড়িতে নেই। তা হলে তুমি আমার সঙ্গে দেখা করলে না কেন? কিন্তু প্রিয়াঙ্কা তার জবাব দেননি।
আরও পড়ুন: রাস্তার কাছেই জ্বলছেন মহিলা, টের পেলেন না কেউ
রাত ১০টা ৪৫ মিনিটে এক অচেনা ব্যক্তি জুনিয়রের মোবাইল থেকে ফোন করেন প্রিয়াঙ্কাকে। এ বিষয়টিও নিশ্চিত হতে চান তদন্তকারীরা। ওই সময়ের কাছাকাছিই খুন হন জুনিয়র।
প্রশ্ন উঠছে, রাত ৮টা থেকে ১০টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত এই ৩ ঘণ্টা কার সঙ্গে দেখা করেছিলেন জুনিয়র? প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে সেই সময় কারা কারা ফোনে কথা বলেছিলেন? এ সব খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সিবিআই সূত্রে খবর, প্রাক্তন ফুটবল কর্তার ছেলের সঙ্গে বিয়ে হয় প্রিয়াঙ্কার। জুনিয়র এবং তাঁর পরিবারের কাছে বিষয়টি গোপন করে গিয়েছিলেন প্রিয়াঙ্কা। খুনের রাতে একটি পার্টিতে যোগ দেওয়ার কথা ছিল প্রাক্তন ফুটবল কর্তার ছেলের সঙ্গে। যে পার্টি থেকে প্রিয়াঙ্কার স্বামী আগেই বেরিয়ে গিয়েছিলেন।
আরও পড়ুন: মাদক ছিলই না সঙ্গে, তবু এক বছর জেলবন্দি দুই যুবক
ইতিমধ্যেই প্রিয়াঙ্কার চালককে জেরা করেছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা। তিনি বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন সিবিআইকে। একই সঙ্গে উঠে আসছে টলিউড এবং প্রভাবশালী যোগ। প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে যাঁদের যোগাযোগ রয়েছে, তাঁদের প্রত্যেকের মোবাইল ফোনের কললিস্ট খতিয়ে দেখা হবে বলে জানা যাচ্ছে।