FirhadHakim

ছাদ-রেস্তরাঁ নিয়ে এসওপি সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত হবে মন্ত্রিসভার বৈঠকে, তিনিও থাকবেন, জানালেন ফিরহাদ

মেছুয়া অগ্নিকাণ্ডের পর কলকাতা শহরের সমস্ত রুফটপ রেস্তরাঁ সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় কলকাতা পুরসভা। তবে সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে রেস্তরাঁ মালিকেরা কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ মে ২০২৫ ১৯:৫৪
Share:

রুফটপ রেস্তরাঁ নিয়ে আলোচনা হবে আগামী বুধবার, জানালেন ফিরহাদ হাকিম। গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।

রুফটপ ‘কমন এরিয়া।’ সেই জায়গা বিক্রি করা যাবে না। ভাড়ায় দেওয়া যাবে না। কারণ, ওই জায়গা সকলের ব্যবহারের জন্য। আগেই এই ঘোষণা করেছিলেন কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের পুর নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। এ বার সে নিয়ে পদক্ষেপ হিসাবে ইতিমধ্যে একটি এসওপি (নির্দিষ্ট নিয়মবিধি) জারি করতে চলেছে রাজ্য সরকার। রুফটপ বা ছাদ-রেস্তোরাঁ নিয়ে ওই নয়া পদক্ষেপ সংক্রান্ত বিষয়ে বৈঠক হবে আগামী বুধবার। সেখানে উপস্থিত ফিরহাদ নিজেও উপস্থিত থাকবেন।

Advertisement

মেছুয়া অগ্নিকাণ্ডের পর কলকাতা শহরের সমস্ত রুফটপ রেস্তরাঁ সাময়িক ভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয় কলকাতা পুরসভা। তবে সেই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে রেস্তরাঁ মালিকেরা কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। হাই কোর্ট তাতে সাময়িক স্বস্তি দেয়, তবে জানায়, নিরাপত্তার শর্ত মানতে হবে প্রতিটি রেস্তরাঁকে। এই ঘটনার পরই রেস্তরাঁগুলির উপর কড়া নজরদারির সিদ্ধান্ত নেয় পুরসভা। শুক্রবার কলকাতা পুরসভার মাসিক অধিবেশনে এক প্রস্তাবের উত্তরে ফিরহাদ জানান, এসওপি কার্যকর করা হবে কি না, সেই বিষয়ে মন্ত্রিসভাই সিদ্ধান্ত নেবে। বস্তুত, ছাদে রেস্তরাঁ সংক্রান্ত পুরসভার বিজ্ঞপ্তি জারির পর আদালত প্রশ্ন করে এর ভিত্তিতে রেস্তরাঁ ভেঙে দিতে পারে কি না? তার পরেই বিভিন্ন বহুতলের ছাদে থাকা রেস্তরাঁগুলিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে রাজ্য সরকারকে নির্দিষ্ট নিয়মবিধি (এসওপি) জারি করার জন্য আবেদন করেন পুর কর্তৃপক্ষ। পুরসভা সূত্রে খবর, ওই বিষয়ে মুখ্যসচিবকে চিঠি দেন পুর কমিশনার। শুক্রবার ফিরহাদ বলেন, ‘‘নতুন করে যাতে ‘কমন এরিয়া’-র রেজিস্ট্রেশন না হয়, সে জন্য আইজিআরের কাছে আবেদন জানানো হয়েছে। আবেদনে পরিষ্কার বলা হয়েছে, ছাদ কাউকে বিক্রি করা যাবে না। নাগরিকের সুরক্ষার উপর জোর দিতে হবে।’’

উল্লেখ্য, কলকাতা পুরসভা এ বার থেকে শহরের সব রুফটপ রেস্তরাঁয় যৌথ পরিদর্শনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ওই উদ্যোগে যুক্ত থাকছে কলকাতা পুলিশ, দমকল বিভাগ ও রাজ্য আবগারি দফতরও।

Advertisement

অন্য দিকে, কলকাতার ৪৯ নম্বর ওয়ার্ডের শ্রদ্ধানন্দ পার্কে ক্যাপসুল পাম্পিং স্টেশন তৈরিতে বিলম্বের কারণ নিয়ে প্রশ্নের উত্তরে মেয়র পারিষদ সদস্য দেবাশিস কুমার বলেন, ‘‘সাইট খতিয়ে দেখে জলপ্রকল্প গড়ে তোলা যায় কি না, সেই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। মীনাক্ষী গঙ্গোপাধ্যায়ের প্রস্তাব প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘‘দেশবন্ধু পার্কে ৫৪ বিঘে জমিতে পর্যাপ্ত জল সরবরাহের বিষয়টি নিশ্চিত করবে জল সরবরাহ বিভাগ। তা নিশ্চিত হলে তবেই দেশবন্ধু পার্কে উদ্যান বিভাগ জলের পাইপলাইন বসাবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement