ট্যাংরায় তৃণমূলকর্মী খুনে ধৃত এক

শুক্রবার বিকেলে ট্যাংরার চায়না টাউনে পুলিশ কিয়স্কের সামনেই চপার দিয়ে কুপিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী বাবু সরকারকে খুন করা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০১৮ ০১:৩৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

দলীয় পার্টি অফিসের দখলকে কেন্দ্র করেই শুক্রবার ট্যাংরায় তৃণমূল কর্মী বাবু সরকার খুন হন বলে স্থানীয়দের দাবি। ঘটনায় শনিবার পর্যন্ত পুলিশ জয়দেব হালদার নামে এক অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। পুলিশের সন্দেহ বাকি অভিযুক্তেরা ভিন্ রাজ্যে গা ঢাকা দিয়েছে।

Advertisement

শুক্রবার বিকেলে ট্যাংরার চায়না টাউনে পুলিশ কিয়স্কের সামনেই চপার দিয়ে কুপিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী বাবু সরকারকে খুন করা হয়। এ দিন সকালে এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, জায়গায় জায়গায় জটলা। বস্তুত, নিহতের বাড়ি থেকে এক অভিযুক্তের বাড়ি ঢিল ছোড়া দূরত্বে। দু’টি বাড়ির সামনেই জটলা। চাপা উত্তেজনা। বাবু সরকারের স্ত্রীকে বাড়িতেই ঘিরে রেখেছেন প্রতিবেশীরা।

দীর্ঘদিন ধরেই ওই এলাকায় দলীয় পার্টি অফিসের দখল নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর লড়াই চলছে। স্থানীয়েরা জানান, বছরখানেক আগে বাবু সরকারের সঙ্গে এলাকার তৃণমূল নেতা প্রদীপ গুহের লড়াইয়ে এলাকা অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছিল। তখন কোনও খুনের ঘটনা না ঘটলেও তার পর থেকেই দুই গোষ্ঠীর মধ্যে চাপা লড়াই চলছিল। সেই সময়ে পার্টি অফিসের দখল নিয়েছিল বাবু সরকারের দলবল। এলাকাবাসীর অনুমান, তার জেরেই এই খুন।

Advertisement

গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ অবশ্য মানতে চাননি স্থানীয় বিধায়ক স্বর্ণকমল সাহা। তিনি জানান, ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরেই বাবুকে খুন করা হয়েছে। বাবু এক জন সৎ তৃণমূল কর্মী ছিলেন বলে এ দিন তিনি দাবি করেন।

শুক্রবার রাতে বাবুর পরিবারের তরফে ট্যাংরা থানায় ৮ জনের নামে এফআইআর করা হয়। তাতে প্রদীপ গুহ ছাড়াও স্থানীয় বাসিন্দা ছোটকা, বড়কা, জয়দেবের নাম ছিল। যদিও এ দিন প্রদীপের সঙ্গে কোনও ভাবেই যোগাযোগ করা যায়নি। ফোন বন্ধ। প্রদীপের দিদির দাবি, বাবুর খুনের ঘটনায় প্রদীপ কোনও ভাবেই জড়িত নন। প্রদীপকে ফাঁসানো হচ্ছে।

এলাকাবাসীর একাংশ জানান, বাবু স্থানীয় তৃণমূল নেতা অলোক খাটুয়ার অনুগামী ছিলেন। মূল লড়াই অলোক খাটুয়ার সঙ্গে প্রদীপ গুহ-র হলেও বাবুও অনেকের শত্রু হয়ে উঠেছিলেন। এ দিন নিহত বাবু সরকারের বাড়িতে যান স্বর্ণকমলবাবু। দ্রুত ময়না তদন্ত করে যাতে বাবুর দেহ সৎকার করা যায়, সে ব্যাপারে তিনি তদারকি করেন। স্থানীয় কর্মীদের নিয়ে এলাকায় বৈঠকও করেন। কিন্তু এলাকায় বা মৃতের বাড়ির সামনে কোনও পুলিশ পিকেট এ দিন দেখা যায়নি।

বাবু-র স্ত্রী জানান, অভিযুক্ত নেতার সঙ্গে বাবুর বহু দিন ধরেই বচসা চলছিল। বাবুকে বিভিন্ন সময়ে মারার হুমকিও দেওয়া হয়েছে। শুক্রবারের ঘটনায় আহত মৃণাল মুখোপাধ্যায়ও জানান, বহু দিন ধরেই তাঁদের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন