দু’টি বাইক দুর্ঘটনায় মৃত্যু তিন যুবকের

পুলিশ সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতে প্রগতি ময়দান থানা এলাকার ই এম বাইপাসে মোটরবাইক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় দুই যুবকের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ মে ২০১৮ ০২:৫০
Share:

শহরের দু’প্রান্তে মঙ্গলবার রাতে মোটরবাইক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল তিন যুবকের। এই ঘটনায় ফের প্রমাণ হল যে, সরকারি তরফে মাথায় হেলমেট পড়ার লাগাতার প্রচার চললেও এক শ্রেণির চালক এবং আরোহীর তাতে বিন্দুমাত্র হুঁশ ফেরেনি।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতে প্রগতি ময়দান থানা এলাকার ই এম বাইপাসে মোটরবাইক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় দুই যুবকের। ময়দান থানা এলাকার ক্যাসুরিনা অ্যাভিনিউয়েও মৃত্যু হয়েছে এক মোটরবাইক আরোহীর। এই ঘটনায় অন্য মোটরবাইকের চালক আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনটি মোটরবাইকের কোনও আরোহীর মাথায় হেলমেট ছিল না বলে পুলিশ জানিয়েছে।

পুলিশ সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতে রেড রোড ধরে ভিক্টোরিয়ার দিকে দু’টি মোটরবাইকের রেষারেষি চলছিল। রাত তখন ১১টা। খিদিরপুর রোড ও ক্যাসুরিনা অ্যাভিনিউয়ের মোড়ে একটি মোটরবাইককে পিছন থেকে অন্য মোটরবাইক সজোরে ধাক্কা মারে। দু’টি মোটরবাইকের চালক ও আরোহী রাস্তায় ছিটকে পড়েন। পিছনের মোটরবাইকে তিন জন ছিলেন। কারও মাথায় হেলমেট ছিল না বলেই জানিয়েছে পুলিশ। সামনের মোটরবাইক চালাচ্ছিলেন তালতলার বাসিন্দা মহম্মদ সইফ (২০)। সইফের পিছনে বসেছিলেন ফৈয়াজ আহমেদ (১৯)।

Advertisement

পুলিশ দু’টি মোটরবাইকের চালক ও আরোহীদের উদ্ধার করে এসএসকেএমে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা ফৈয়াজকে মৃত ঘোষণা করেন। পিছনের মোটরবাইকের চালক মহম্মদ মোস্তাককে প্রথমে এসএসকেএমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁর পরিজনেরা মধ্য কলকাতার একটি নার্সিংহোমে স্থানান্তরিত করেন। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসার পরে এসএসএকেএম থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

অন্য দিকে, মঙ্গলবার ভোরে প্রগতি ময়দান থানা এলাকার মাঠপুকুরের কাছে ই এম বাইপাসে অন্য একটি মোটরবাইক দুর্ঘটনায় চালক ও আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তপসিয়া রোডের বাসিন্দা শেখ কলিমুদ্দিন (২০) মোটরবাইক চালিয়ে চিংড়িঘাটা থেকে ই এম বাইপাস ধরে গড়িয়ার দিকে যাচ্ছিলেন। পিছনে বসেছিল তাঁর বন্ধু কাসিফ ওয়ারসি আহমেদ (১৬)।

পুলিশ জানিয়েছে, মাঠপুকুরের কাছে বেপরোয়া গতিতে চলা মোটরবাইকটি বাঁক নিতে গিয়ে চালক ও আরোহী মোটরবাইক থেকে রাস্তায় ছিটকে পড়েন। সেই সময়ে পিছন থেকে আসা একটি লরি কলিমুদ্দিনকে পিষে দিয়ে চলে যায়। ঘটনাস্থলেই মারা যান কলিমুদ্দিন। পুলিশ আহত কাসিফকে প্রথমে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখান থেকে একবালপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। পুলিশ দু’টি ক্ষেত্রেই তিনটি মোটরবাইক আটক করেছে।

প্রচার সত্ত্বেও হেলমেট পড়তে এত অনীহা কেন? কেনই বা পুলিশ হেলমেটহীন মোটরবাইক চালক ও আরোহীদের বিরুদ্ধে আরও কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে না? উত্তরে লালবাজারের এক কর্তা বলেন, ‘‘হেলমেট না পড়়লে জরিমানা করা হয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও এই প্রবণতা ঠেকানো যাচ্ছে না। মানুষ নিজে সচেতন না হলে কাজের কাজ কিছুই হবে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন