Nabanna Abhijan

শনিবার ভোর ৪টে থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত কলকাতার বহু রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ, বিজ্ঞপ্তি জারি করল লালবাজার

কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার ভোর ৪টে থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত শহরের বেশ কয়েকটি রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। ওই সময়ে জরুরি পরিষেবার গাড়ি ছাড়া সমস্ত ধরনের পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকবে সেই সব রাস্তায়।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ অগস্ট ২০২৫ ২১:২২
Share:

কী কী ট্র্যাফিক বিধিনিষেধ? বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানাল কলকাতা পুলিশ। —ফাইল চিত্র।

আরজি কর-কাণ্ডের এক বছরে, শনিবার নবান্ন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে। তা নজরে রেখে কলকাতার বহু রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণের সিদ্ধান্ত নিল লালবাজার।

Advertisement

কলকাতা পুলিশ জানিয়েছে, শনিবার ভোর ৪টে থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত শহরের বেশ কয়েকটি রাস্তায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে। ওই সময়ে জরুরি পরিষেবার গাড়ি ছাড়া সমস্ত ধরনের পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকবে সেই সব রাস্তায়। লালবাজারের নির্দেশ অনুযায়ী বিদ্যাসাগর সেতু, খিদিরপুর রোড, তারাতলা রোড, সার্কুলার গার্ডেনরিচ রোড, হাইড রোডে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে জওহরলাল নেহরু রোড, আরআর অ্যাভিনিউ, রেড রোড, ডাফরিন রোড, মেয়ো রোড, এজেসি বোস রোড, এসএন ব্যানার্জি রোড, এমজি রোড, ব্র্যাবোর্ন রোড এবং হাওড়া সেতুতেও।

Advertisement

নবান্ন অভিযান আটকাতে ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে কলকাতা পুলিশ। জায়গায় জায়গায় বসানো হবে স্টিলের ব্যারিকেড, কন্টেনার, জলকামান। বহু জায়গায় ব্যারিকেড বসেছে। পুলিশ সূত্রের খবর, হাওড়ার সঙ্গে কলকাতার যোগাযোগের আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পথ বিদ্যাসাগর সেতুতে যাতে কোনও মিছিল উঠতে না পারে, সে জন্য সেতুতে ওঠার সমস্ত রাস্তায় থাকবে ব্যারিকেড। টার্ফ ভিউ রোড, হেস্টিংস মাজার, ফারলং গেট ও খিদিরপুর রোডে থাকছে অ্যালুমিনিয়ামের গার্ডওয়াল।

প্রসঙ্গত, আরজি কর-কাণ্ডের বিচার চেয়ে ‘পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ’-এর ডাকা নবান্ন অভিযান ঘিরে তুলকালাম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। সেই কর্মসূচিকে সমর্থন করে যোগও দিয়েছিল বিজেপি। তাতে ব্যারিকেড ভাঙা, ভাঙচুর, বাইকে আগুন ধরিয়ে দেওয়া ছাড়াও আন্দোলনকারী এবং পুলিশের মধ্যে জায়গায় জায়গায় সংঘর্ষে জখম হয়েছিলেন দু’পক্ষেরই বেশ কয়েক জন। পুলিশের আশঙ্কা, গত বারের মতো এ বারেও আন্দোলনকারীরা মারমুখী হয়ে উঠতে পারেন। তাই পুলিশকর্মীদের একসঙ্গে থেকে বিক্ষোভকারীদের মোকাবিলার নির্দেশ দিয়েছে লালবাজার। নবান্ন অভিযান আটকাতে কলকাতা হাই কোর্টে মামলাও হয়েছিল। কিন্তু ‘শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ সকলের মৌলিক অধিকার’ জানিয়ে সেই আবেদন খারিজ করেছে উচ্চ আদালত।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement