রাস্তায় জল জমার ফলে যানজটে আটকে রয়েছে বাস, মিনিবাস। ছবি: পিটিআই।
সকাল থেকেই মুষলধারে বৃষ্টি। সঙ্গে বজ্রপাত। গরমের হাত থেকে রেহাই মিললেও সকাল থেকে টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন কলকাতার বহু এলাকা। যার জেরে বিপর্যস্ত শহরের জনজীবন।
উল্টোডাঙা, পার্ক সার্কাস, ঠনঠনিয়া কালীবাড়ি, হেস্টিংস, বেহালা থেকে শুরু করে ধাপা, সায়েন্স সিটি, গড়িয়া, যাদবপুর, খিদিরপুর-সহ শহরের প্রায় সর্বত্রই বৃষ্টিতে থই থই অবস্থা।
রাস্তায় জল জমার ফলে গাড়ির গতি শ্লথ হয়ে যায়। পথে বেরিয়ে সব থেকে সমস্যায় পড়েন অফিস যাত্রীরা। যানজটে আটকে থাকে বাস, মিনিবাস। রাস্তায় জল জমার কারণে ট্যাক্সি ও অটোর চালকেরা বেশি টাকা দাবি করেন বলে অভিযোগ।পরিবহণ দফতরের হুঁশিয়ারি সত্ত্বেও, সুযোগ বুঝে ‘ক্যাব’-এর ভাড়াও এ দিন কয়েকগুণ বেড়ে গিয়েছে।
আরও পড়ুন: ঝড়-বৃষ্টি-বজ্রপাতে বিপর্যস্ত রাজ্য, বৃষ্টি চলবে আরও ২ দিন
কলকাতায় বৃষ্টিপাতের জেরে জল জমেছে— তপসিয়া, ধাপা, উল্টোডাঙা, বালিগ়ঞ্জ, পামার বাজার, মোমিনপুর, চেতলা এলাকায়। এই দুর্ভোগ আরও বাড়তে পারে বলে আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর। বেহালা, ইএম বাইপাসে এক দিকে মেট্রো প্রকল্পের কাজ, অন্য দিকে নিকাশির কাজের জন্য সব থেকে বেশি যানজট হয়। গড়িয়া এবং উল্টোডাঙা, এয়ারপোর্টগামী গাড়ি ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে থাকে। সায়েন্স সিটির কাছে প্রায় হাঁটুজল দাঁড়িয়ে যায়। বেহালা শীলপাড়াতেও একই অবস্থা। কালিকাপুর, ঠনঠনিয়া কালীবাড়ির কাছেও জল জমে গাড়ি চলাচল থমকে যায়।
আবহাওয়া দফতর সূত্র খবর, বঙ্গোপসাগরের উপর ঘূর্ণাবর্তের জেরে আগামী আটচল্লিশ ঘণ্টা দক্ষিণবঙ্গের কলকাতা-সহ বিভিন্ন রাজ্যে বৃষ্টি চলবে। কলকাতা পুরসভার তরফ থেকে জানানো হয়েছে, যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য পুরকর্মীরা তৈরি হয়েছেন। বৃষ্টির মাত্রা বেশি হলেও, এখনও পর্যন্ত কোথাও জল দাঁড়িয়ে নেই। জোয়ারের কারণে সকাল সাড়ে ৭ টা থেকে সকাল ১২ টা পর্যন্ত কলকাতার খালে জলের জলস্তর বেশি ছিল। বেলায় লকগেট গুলি খুলে দেওয়া হয়, জলস্তর নামছে। বৃষ্টি হলেও, বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ বেশি থাকায় আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি বজায় থাকবে কলকাতায়।
দেখুন ভিডিও: