Kolkata traffic police

‘বাইরে নয়, বাড়িতে বসে ছবি আঁকো’, শহরের খুদেদের পাশে পুলিশকাকুরা

ঘরে বসে মন খারাপ না করে ছবি আঁকার পরামর্শ দিল তারা। খেলতে বলল লুডোও। শুধু পরামর্শই নয়, শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে খেলার সরঞ্জাম থেকে আঁকার খাতা-রং-পেন্সিলও তুলে দিল কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০২০ ২০:৩৮
Share:

শিশুদের হাতে খেলার সরঞ্জাম, খাবার তুলে দিচ্ছেন কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের কর্মী। নিজস্ব চিত্র।

করোনাভাইরাসের মোকাবিলায় লকডাউন ঘোষণার পর নানা ভূমিকায় দেখা গিয়েছে কলকাতা পুলিশকে। কখনও অভূক্তদের মুখে খাবার তুলে দিচ্ছেন তাঁরা। বাজারের সামনে চক দিয়ে ‘সুরক্ষারেখা’ টানছেন। আইনশৃঙ্খলার দায়িত্বও রয়েছে কাঁধে। সেই সঙ্গে গান গেয়ে শহরবাসীর মনোবল বাড়াতেও দেখা গিয়েছে। এ বার শিশুদেরও পাশে ‘পুলিশকাকু’রা।

Advertisement

ঘরে বসে মন খারাপ না করে ছবি আঁকার পরামর্শ দিল তারা। খেলতে বলল লুডোও। শুধু পরামর্শই নয়, শহরের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে খেলার সরঞ্জাম থেকে আঁকার খাতা-রং-পেন্সিলও তুলে দিল কলকাতা ট্রাফিক পুলিশ। সঙ্গে নানা ধরনের খাবার সামগ্রী।

‘পুলিশ কাকু’দের হাত থেকে আঁকার খাতা, রং, পেন্সিল, বিস্কুটের প্যাকেট, লুডোর বোর্ড পেয়ে খুশি খুদেরাও। এই লকডাউনের বাজারে বই-খাতার দোকান খোলা নেই। এমন পরিস্থিতিতে বিশেষ করে পিছিয়ে পড়া শিশুদের নানা ধরনের সরঞ্জাম তুলে দেওয়ার উদ্যোগে খুশি শহরবাসীরাও। পূর্ব ট্রাফিক গার্ডের পক্ষ বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে ঘুরে শিশুদের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে নানা ধরনের সামগ্রী।

Advertisement

আরও পড়ুন: ফিরে যেতে পারতাম, কিন্তু চাইনি আমাদের জন্য দেশের এক জনেরও ক্ষতি হোক

আরও পড়ুন: স্তব্ধ ইটালিতে বারান্দা থেকে ঝুলছে ঝুড়ি! কেউ খাবার নিয়ে যাচ্ছেন, কেউ রেখে যাচ্ছেন

খেলার সরঞ্জাম, খাবার নেওয়ার লাইনে খুদেরা। নিজস্ব চিত্র।

এক শিশুর হাতে লুডোর বোর্ড তুলে দেওয়ার সময় অবশ্য পুলিশকাকু সতর্ক করলেন, “বাড়ি থেকে কিন্তু বেরবে না। বাড়িতে বসেই লুডো খেলবে। ছবি আঁকো।” ডেপুটি কমিশনার (ট্রাফিক) রুপেশ কুমার বলেন, “আমরা সব রকম ভাবে শহরবাসীর পাশে রয়েছি। চিন্তার কোনও কারণ নেই।”

(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন,feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন