Kolkata Police

রাস্তায় সিসি ক্যামেরার কেব্‌ল কাটা হলেই মামলার নির্দেশ পুলিশকে

অপটিক্যাল ফাইবার কেব্‌ল কেন এবং কারা কাটছে, তা তাঁরা জানেন না। তাই সিসি ক্যামেরার কেব্‌ল কাটা গেলেই মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করতে বলা হয়েছে ওসিদের।

Advertisement

শিবাজী দে সরকার

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ ০৭:২৪
Share:

এ বার থেকে কেব্‌ল চুরি গেলেই মামলা দায়ের করতে হবে। প্রতীকী ছবি।

মেয়েদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় সরকারের ‘নির্ভয়া’ প্রকল্পে কলকাতা জুড়ে বসানো হয়েছিল সিসি ক্যামেরা। মাঝেমধ্যেই সেই সমস্ত ক্যামেরা অকেজো হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। যার প্রধান কারণ, বিভিন্ন জায়গায় অপটিক্যাল ফাইবার কেব্‌ল কেটে দেওয়া হচ্ছে বার বার। কারা, কী উদ্দেশ্যে ওই তার কেটে দিচ্ছে, সে ব্যাপারে এখনও অন্ধকারে পুলিশ। এই সমস্যার মোকাবিলায় লালবাজারের কর্তারা থানার ওসিদের নির্দেশ দিয়েছেন, এ বার থেকে কেব্‌ল চুরি গেলেই মামলা দায়ের করতে হবে। সেই সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে প্রতিটি থানায় যে সব সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে, সেগুলি যাতে বন্ধ না থাকে, সে ব্যাপারেও থানাগুলিকে সতর্ক করেছে লালবাজার।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, গত সপ্তাহে কলকাতার নগরপাল বিনীত গোয়েলের মাসিক অপরাধ দমন বৈঠকে ‘নির্ভয়া’ প্রকল্পের ক্যামেরা নিয়ে আলোচনা হয়। সেখানে লালবাজারের উচ্চপদস্থ কর্তারা ওই সমস্ত ক্যামেরার দেখাশোনার জন্য থানার ওসিদের নির্দেশ দেন। এক পুলিশকর্তা জানান, মেয়েদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ‘নির্ভয়া’ প্রকল্পের টাকায় প্রায় এক হাজার ক্যামেরা শহর জুড়ে বসানো হয়েছে। মূলত মেয়েদের স্কুল-কলেজ এবং বিভিন্ন জনবহুল এলাকায় ওই সমস্ত সিসি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারি চালানো হচ্ছে। ওই ক্যামেরা বসাতে ব্যবহার করা হয়েছে কলকাতা পুলিশের নিজস্ব অপটিক্যাল ফাইবার কেব্‌ল। কিন্তু বার বারই দুষ্কৃতীরা সেই কেব্‌ল কেটে দিচ্ছে। যার ফলে অকেজো হয়ে পড়ছে ক্যামেরা। প্রয়োজনের সময়েও সেই ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করতে পারছে না পুলিশ।

অধিকাংশ থানার আধিকারিকদেরই বক্তব্য, অপটিক্যাল ফাইবার কেব্‌ল কেন এবং কারা কাটছে, তা তাঁরা জানেন না। তাই সিসি ক্যামেরার কেব্‌ল কাটা গেলেই মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করতে বলা হয়েছে ওসিদের। সূত্রের খবর, আগে ক্যামেরা খারাপ হলে বা কেউ কেব্‌ল কেটে দিলে তা মেরামত করিয়ে নেওয়া হত। কিন্তু কোনও মামলা রুজু করা হত না।

Advertisement

লালবাজার জানিয়েছে, রাস্তায় লাগানো সিসি ক্যামেরার পাশাপাশি থানাগুলির ক্যামেরাও যাতে সচল থাকে, সে ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছে তারা। থানায় থানায় সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে মূলত পুলিশকর্মীদের কাজকর্মের উপরে নজরদারি চালানোর জন্য। কিন্তু, কয়েকটি থানার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা মাঝেমধ্যেই ওই সিসি ক্যামেরা বন্ধ করে রাখছে। যার ফলে ওই সময়ে থানায় কী ঘটছে, তা জানা যাচ্ছে না। এই প্রবণতা কড়া হাতে দমন করতে চাইছে লালবাজার। তাই থানাগুলিকে বলা হয়েছে,ভবিষ্যতে যেন এই ধরনের ঘটনা আর কখনও না ঘটে। ক্যামেরা কোনও মতেই বন্ধ রাখা যাবে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন