—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
বছরের শেষে উৎসবের শহরে রাস্তায় মত্ত চালকদের দৌরাত্ম্য ভাবাচ্ছে লালবাজারকে! বড়দিনকে কেন্দ্র করে গত কয়েক দিনে শহরে বেপরোয়া চালকদের দৌরাত্ম্যের দিকটি নজরে এসেছে পুলিশরকর্তাদের। এই অবস্থায় বর্ষবরণের উৎসব ঘিরে মত্ত চালক-সহ পথের বিধি ভাঙা আটকাতে অতিরিক্তি পুলিশ নামানোর পাশাপাশি একাধিক পরিকল্পনা করছে লালবাজার। কিন্তু তার পরেও মত্ত চালকদের দৌরাত্ম্যের পাশাপাশি বিধি ভাঙা আটকানো যাবে কিনা, তা নিয়ে সংশয় কাটছে না।
লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, বড়দিনের এক দিন আগে থেকে পথের বিধি ভাঙা আটকাতে বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা করা হয়েছিল। শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে নাকা তল্লাশির ব্যবস্থা করা হয়। ২৪ এবং ২৫ ডিসেম্বর, পুলিশের বিশেষ নজরদারিতে প্রায় আটশোটি ক্ষেত্রে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে লালবাজার সূত্রের খবর। ২৪ ডিসেম্বর ৩৮২টি এবং ২৫ ডিসেম্বর ৪১২টি মামলা রুজু করা হয়েছে। দু’দিনে শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আইন ভাঙায় ২৬৮ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে লালবাজার। তার মধ্যে শুধু বড়দিনেই ১৯১ জন গ্রেফতার হয়েছেন। লালবাজার জানিয়েছে, বড়দিন এবং বর্ষশেষেরউৎসব ঘিরে মত্ত চালকদের দৌরাত্ম্য দেখা গিয়েছে বিভিন্ন প্রান্তে। প্রতিদিন গড়ে ৫০-এর বেশি জনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে খবর। তবে বড়দিন এবং তারআগের দিন যথাক্রমে ৭৭ এবং ৭৩ জন মত্ত চালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে লালবাজার। এ ছাড়া বড়দিনে বেপরোয়া ভাবে গাড়ি চালানোর জন্য ৮১টি, বিনা হেলমেটে গাড়িচালানোয় ১০০টি মামলা রুজু করা হয়েছে।
বর্ষবরণকে কেন্দ্র করে মত্ত চালকদের পাশাপাশি পথের বিধি ভাঙার সংখ্যা আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা করছেন লালবাজারের কর্তারা। তাই বিশেষ ব্যবস্থা নিচ্ছেন তাঁরা। পার্ক স্ট্রিটের জন্য রয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা। সঙ্গেবাকি শহরের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা রাখা হচ্ছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে ওই দিন অতিরিক্ত প্রায় চার হাজার পুলিশকর্মী রাস্তায় থাকবেন বলে সূত্রের খবর।ভিক্টোরিয়া, চিড়িয়াখানা, গঙ্গাতীর, ময়দান এলাকায় প্রচুর পুলিশি বন্দোবস্ত করা হচ্ছে। মহিলাদের নিরাপত্তায় বাড়তি গুরুত্ব দিচ্ছে পুলিশ। ‘উইনার্স’ বাহিনীর পাশাপাশি সাদা পোশাকের পুলিশ নজরদারি চালাবে শহরে।
পার্ক স্টিটে বর্ষবরণের রাতের ভিড় নিয়ন্ত্রণে এক হাজারের বেশি পুলিশকর্মী রাখা হবে। সেই সঙ্গে নজর-মিনার থেকেও লক্ষ রাখবে বিশেষ বাহিনী। রাস্তায় মত্ত অবস্থায় থাকা এবং বেপরোয়া চালকদেররুখতে শহরের প্রায় ৮০টি পয়েন্টে বিশেষ তল্লাশির পরিকল্পনা করেছে লালবাজার। পাশাপাশি বর্ষবরণে অভিযোগ ওঠে শব্দবাজি ফাটানোরও। সে দিকেও নজর রাখার কথা জানানো হয়েছে।
লালবাজারের এক কর্তা বলছেন, ‘‘গত কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন মাধ্যমে প্রচার চালানো হয়েছে। এর পরেও যদি কেউ আইন ভাঙেন, সে ক্ষেত্রে যা যা পদক্ষেপ করা প্রয়োজন, তা-ই করা হবে।’’
প্রতিদিন ২০০’রও বেশি এমন প্রিমিয়াম খবর
সঙ্গে আনন্দবাজার পত্রিকার ই -পেপার পড়ার সুযোগ
সময়মতো পড়ুন, ‘সেভ আর্টিকল-এ ক্লিক করে