Kolkata Poice

দুর্ঘটনার আশঙ্কায় ৪ সেতুতে পণ্যবাহী গাড়ি চলাচল বন্ধ

পুলিশের পরামর্শ:উল্টোডাঙা বা অরবিন্দ সেতুর পরিবর্তে লরি মানিকতলা ব্রিজ দিয়ে যেতে পারে। বিজন সেতুর পরিবর্তে কালিকাপুর থেকে যাদবপুর হয়ে লরি যাতায়াত করলে কোনও অনুবিধা নেই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ২০:১৩
Share:

মাঝেরহাট সেতু ভেঙে পড়ার পর কলকাতায় ২০ চাকার গাড়ি ঢোকায় আগেই নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। এবার শহরে চারটি ‘বিপজ্জনক’ সেতুতে পণ্যবাহী গাড়ি চলাচলে অনির্দিষ্টকালের নিষেধাজ্ঞা জারি করল কলকাতা পুলিশ। তবে শহরে অত্যাবশ্যক খাদ্যপণ্য সরবরাহকারী লরির জন্য ছাড় মিলবে।

Advertisement

শনিবার নবান্নে কলকাতা পুলিশ কমিশনার রাজীব কুমার বলেন, “মাঝেরহাট ব্রিজের উদ্ধার কাছ শেষ। ধ্বংসস্তূপ সরানোর কাজ চলছে। যান চলাচলে সমস্যা হচ্ছে। কিছু দিনের মধ্যেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। আপাতত বিজন সেতু, উল্টোডাঙা, টালিগঞ্জ এবং বেলগাছিয়া ব্রিজে পণ্যবাহী লরি বন্ধ থাকবে।”

এদিন লালবাজারে সাংবাদিক সম্মেলন করে অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (১) বিনীতকুমার গোয়েল বলেন, “যে সব রাস্তা এখনও খারাপ রয়েছে সেগুলি দ্রুত সারিয়ে তোলা হচ্ছে। হাইড রোডে ইতিমধ্যেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। পরিস্থিতির ওপর নজর রাখা হচ্ছে।”

Advertisement

আরও পড়ুন: জোকা-বি বা দী বাগ মেট্রোর কাজ বন্ধ করতে বলল রাজ্য, ক্ষুব্ধ রেল

পুলিশের পরামর্শ:উল্টোডাঙা বা অরবিন্দ সেতুর পরিবর্তে লরি মানিকতলা ব্রিজ দিয়ে যেতে পারে। বিজন সেতুর পরিবর্তে কালিকাপুর থেকে যাদবপুর হয়ে লরি যাতায়াত করলে কোনও অনুবিধা নেই। একই ভাবে টালিগঞ্জের পরিবর্তে দুর্গাপুর সেতু, বেলগাছিয়ার পরিবর্তে আর এম রোড হয়ে লরি চলাচলের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুন: মাঝেরহাটে লেভেল ক্রসিং করে যান চলাচলের বিকল্প ভাবনা রাজ্যের

অত্যাবশ্যক পণ্য বা নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর ক্ষেত্রে পুলিশের অনুমতি নিয়ে গাড়ি চলাচলের কোনও সমস্যা হবে না বলে জানিয়েছেন পুলিশ কর্তারা। এছাড়াও বন্দর এলাকার জন্য শনি ও রবিবার সারাদিনই লরি চলাচলে ছাড় দেওয়া হবে। অন্যান্য দিনে রাত ১০টা থেকে ৬টা এবং বেলা ১২টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত লরি চলাচল করবে। আগামী সপ্তাহের মধ্যে দক্ষিণ কলকাতা থেকে ধর্মতার দিকে যান চলাচল আরও স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে দাবি পুলিশের।

(কলকাতার ঘটনা এবং দুর্ঘটনা, কলকাতার ক্রাইম, কলকাতার প্রেম - শহরের সব ধরনের সেরা খবর পেতে চোখ রাখুন আমাদের কলকাতা বিভাগে।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement