ফাইল চিত্র।
লোকসভা নির্বাচনের সপ্তম এবং শেষ দফার ভোটগ্রহণ হবে কলকাতায়। সেই ভোটগ্রহণ-পর্ব যাতে শান্তিপূর্ণ হয়, তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বাহিনীকে নির্দেশ দিলেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার রাজেশ কুমার। লালবাজার সূত্রের খবর, আগামী ১৯ মে-র ওই ভোট নিয়ে মঙ্গলবার সকালে কলকাতা পুলিশের ডেপুটি কমিশনারদের নিয়ে বৈঠক করেন সিপি। লালবাজারে প্রায় তিরিশ মিনিট ধরে ওই বৈঠক হয়।
সূত্রের খবর, ভোটের পাঁচ-ছ’দিন আগেই শহরে চলে আসবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। প্রায় দেড়শো কোম্পানি জওয়ানের আসার কথা শহরের ভোটপর্ব সামাল দেওয়ার জন্য। বর্তমানে দুই কোম্পানি রয়েছে শহরে। ভোটের কাজে কেন্দ্রীয় বাহিনীকে ব্যবহার করা এবং তাদের রাখার ব্যাপারে যাতে কোনও সমস্যা না হয়, সে ব্যাপারে ডিসি-দের সতর্ক থাকতে বলেন পুলিশের শীর্ষ কর্তা। ওই বাহিনী চলে এলে তাদের বিভিন্ন এলাকায় মোতায়েন করা হবে।
মাসখানেক আগে কলকাতা পুলিশের কমিশনার পদ থেকে অনুজ শর্মাকে সরিয়ে রাজেশ কুমারকে লালবাজারের দায়িত্ব দেয় নির্বাচন কমিশন। সেই কারণে কলকাতায় নির্বিঘ্নে ভোট-বৈতরণী পার করাটা তাঁর কাছে চ্যালেঞ্জ। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কলকাতায় নির্বিঘ্নে ভোটগ্রহণ হয়েছে। সেটি মাথায় রেখেই এ দিন কমিশনার ডিসি-দের বলেন কলকাতা পুলিশের সুনাম বজায় রাখতে। তাই যে সব এলাকায় গোলমালের আশঙ্কা রয়েছে, সেখানে আগে থেকেই পুলিশি নজরদারি বাড়াতে বলেছেন সি পি। একই সঙ্গে থানার ওসি এবং অফিসারদের এলাকায় জনসংযোগ বৃদ্ধি করতে ডিসি-দের মাধ্যমে নির্দেশ
দিয়েছেন তিনি।
পুলিশ সূত্রের খবর, এর আগে বিভিন্ন থানার আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন পুলিশ কমিশনার। সেখানে নিচুতলার পুলিশকর্মীদের শান্তিপূর্ণ ও সুষ্ঠু ভাবে ভোট পরিচালনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলেন তিনি। এর পরে একাধিক বার নির্বাচন কমিশনের বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষকের সঙ্গে বৈঠক করেছেন কমিশনার। কলকাতা পুলিশের এক কর্তা জানান, কমিশনার কলকাতা পুলিশে নতুন হলেও বাহিনীর সুনাম রক্ষা করতে বদ্ধপরিকর। তাই তিনি বারবার অফিসারদের সঙ্গে
বৈঠক করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলছেন।