বাড়ির সামনে রাখা গাড়ির উইন্ডস্ক্রিনে জমছে ছোট ছোট রঙের ছিটে। গাড়ির সামনে, জানলার কাচে এমনকী গায়েও।
সল্টলেক স্টেডিয়াম লাগোয়া আইএ ব্লকের বাসিন্দারা, যাঁরা স্টেডিয়ামের গা লাগোয়া গলিতে বা বড় রাস্তায় থাকেন, মাথায় হাত তাঁদের। গাড়ির কাচ থেকে সেই রং উঠছে না। বরং গত ১৫-২০ দিন ধরে রং জমেই চলেছে। কিন্তু কোত্থেকে এই রং আসছে, প্রথমে তা বোঝাই যায়নি। সম্প্রতি জানা গিয়েছে, সল্টলেক স্টেডিয়ামের বিশাল উঁচু যে ছাদ রয়েছে, সেখানে স্প্রে-র সাহায্যে রং করা হচ্ছে। তা-ই হাওয়ায় উড়ে আসছে লাগোয়া বসত এলাকায়।
চার বছর পরে এ বার অনূর্ধ্ব ১৭ ফুটবল বিশ্বকাপ হবে ভারতে। খেলা হবে ছ’টি শহরে। সল্টলেক স্টেডিয়ামও রয়েছে সেই তালিকায়। আয়োজক দেশ হিসেবে খেলবে ভারত। খেলবে ব্রাজিলও। কোয়ালিফাইং রাউন্ড থেকে অবশ্য ছিটকে গিয়েছে আর্জেন্তিনা। আর কোন কোন দেশ খেলবে তা জানতে জানতে জুলাই হয়ে যাবে। অক্টোবরের এই খেলার জন্যই সেজে উঠছে স্টেডিয়াম। তারই অঙ্গ হিসেবে রংও হচ্ছে।
তবে শুধু আইএ ব্লক নয়, রং ছড়িয়ে পড়ছে আমরি হাসপাতালের দিকেও। আইএ ব্লকের বাসিন্দা, পেশায় চিকিৎসক অনিরুদ্ধ গঙ্গোপাধ্যায়ের অভিযোগ, ‘‘কিছুতেই তোলা যাচ্ছে না রং। ফলে গাড়ি চালানোর সময়ে চোখের সামনে সেই হাল্কা বাধাটা থাকছেই। মাঝে এক দিন সাবান-জল দিয়ে উইন্ডস্ক্রিন পরিষ্কার করার সময়ে ওয়াইপার ব্যবহার করতে গিয়েছিলাম, রং এমন ভাবে বসে গিয়েছে যে ওয়াইপারের রবার কেটে গিয়েছে।’’
স্টেডিয়ামের রূপ বদলের দায়িত্ব রাজ্য সরকারের। ওই কাজে বহাল সরকারের এক ইঞ্জিনিয়ার বলেন, ‘‘রঙের ওই কাজ প্রায় শেষ হয়ে এসেছে। আর দিন তিনেক বড়জোর। কিন্তু অত উপরে ঢাকা দিয়ে রং করাটা প্রায় অসম্ভব।’’ তিনি নিয়মিত পরিদর্শনে আসছেন এবং তাঁর গাড়ির কাচেও একই ভাবে রং জমছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ইঞ্জিনিয়ারের পরামর্শ — থিনার ব্যবহার করলে রং উঠে যাবে। তিনিও তা ব্যবহার করে উপকার পেয়েছেন।