quality control

কোয়ালিটি কন্ট্রোল অফিসার সেজে সোনা-হিরে লুঠ গিরীশ পার্কে

কারখানা থেকে বেরিয়েই গলির মুখে তোতন দেখতে পায় দু’জন ব্যক্তি একটি মোটর বাইক নিয়ে দাঁড়িয়ে। তোতনকে তারা ডাকে। তার পর...

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ জানুয়ারি ২০১৯ ১৩:৫৭
Share:

অলঙ্করণ: তিয়াসা দাস।

রাজ্য সরকারের কোয়ালিটি কন্ট্রোল আধিকারিকের পরিচয় দিয়ে প্রায় সাড়ে পাঁচ লাখ টাকার গয়না নিয়ে চম্পট দিল দুই দুষ্কৃতী। এমনটাই অভিযোগ উঠেছে।

Advertisement

মঙ্গলবার ঘটনাটি ঘটেছে গিরিশ পার্ক থানা এলাকার সুধীর চ্যাটার্জি স্ট্রিটে। ওই রাস্তাতেই প্রভাতকুমার ঢ্যাংয়ের সোনার গয়না পালিশ করার কারখানা।

প্রভাত গিরিশ পার্ক থানায় জানিয়েছেন, সোমবার সকালে তাঁর তিন গ্রাহক প্রায় ১১০ গ্রামের হিরে বসানো সোনার গয়না পালিশ করতে দিয়ে যান। সেই গয়না মঙ্গলবার দুপুরে পালিশ হয়ে যাওয়ার পর গ্রাহকদের ডেলিভারি দিতে কারখানা থেকে বেরোন প্রভাতের এক কর্মচারী তোতন দে। সেই সময় তিনি কারখানায় ছিলেন না। বিকেল চারটে নাগাদ তোতন তাঁকে ফোন করে জানান যে, সমস্ত গয়না দু’জন লোক নিয়ে চম্পট দিয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: আনন্দপুরের স্কুলের গেটের তালা ভেঙে চুরি দুষ্কৃতীদের

তিনি তড়িঘড়ি কারখানায় এসে জানতে পারেন, সাড়ে তিনটে নাগাদ ডেলিভারি দেওয়ার জন্য গয়না নিয়ে বেরিয়েছিল তোতন। কারখানা থেকে বেরিয়েই গলির মুখে তোতন দেখতে পায় দু’জন ব্যক্তি একটি মোটর বাইক নিয়ে দাঁড়িয়ে। তোতনকে তারা ডাকে। নিজেদের সরকারের কোয়ালিটি কন্ট্রোল অফিসার বলে পরিচয় দেয়। ওই দুই ব্যক্তি তোতনকে বলে যে, তারা সমস্ত জিনিসের গুণমান পরীক্ষা করে দেখে।

তোতনের হাতের ব্যাগ দেখে তারা জানতে চায়, কী আছে ব্যাগে? তোতন জানায়, ব্যাগে সোনার গয়না আছে। প্রভাতের অভিযোগ, সোনার গয়না আছে শুনেই ওই দুই ব্যক্তি তোতনকে গয়না দেখাতে বলে পরীক্ষার জন্য। তোতন ঘাবড়ে গিয়ে গয়না দেখালে তারা বলে পরীক্ষা করতে সময় লাগবে। তত ক্ষণ কারখানার মালিককে ডেকে আনতে বলে। তোতন কারখানায় প্রভাতকে না পেয়ে অন্য এক কর্মীকে ডেকে গলির মুখে পৌঁছলে দেখে কেউ নেই। বাইকও নেই। তখন তাঁরা বুঝতে পারেন যে কোয়ালিটি কন্ট্রোলের নামে বোকা বানানো হয়েছে। এর পরই তাঁরা গোটা বিষয়টি প্রভাতকে ফোন করে জানান।

আরও পড়ুন: দমদমে দমকলের কেন্দ্রই আস্ত জতুগৃহ

গিরিশ পার্ক থানা এলাকার তদন্তকারী আধিকারিকদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গলিতে কোনও সিসি ক্যামেরা নেই। তা-ও গলি পেরিয়ে দু’দিকের বড় রাস্তায় তোতনের দেওয়া বর্ণনা অনুযায়ী সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। সাহায্য নেওয়া হচ্ছে গোয়েন্দা বিভাগের ওয়াচ শাখার। পাশাপাশি কারখানার মালিক এবং ওই কর্মীকেও জেরা করা হচ্ছে। এক আধিকারিক বলেন,“তোতনকেও আমরা সন্দেহের উর্ধ্বে রাখতে পারছি না।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন