বর্ষা বাদ সাধল সংশোধনাগার স্থানান্তরে! কারা দফতর সূত্রে তেমনই খবর।
আলিপুর কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারকে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুরের টংতলায়। সে কাজের জন্য একাধিক বার তারিখ ঠিক হয়েছে। কিন্তু এক বারও সেই কাজ হয়ে ওঠেনি। চলতি মাসের মাঝামাঝিও সংশোধনাগার স্থানান্তরের দিন স্থির হয়েছিল। বর্ষার কারণে তাও আটকে গিয়েছে। কারাকর্তাদের আশা, বর্ষা গেলে পুজোর আগেই স্থানান্তরের কাজে হাত দিতে পারবেন তাঁরা।
শহরের মধ্যে অবস্থিত আলিপুর, আলিপুর মহিলা এবং প্রেসিডেন্সি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগার অন্যত্র সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সরকার। সে কারণেই বছর দেড়েক আগে বারুইপুরের টংতলায় সংশোধনাগার তৈরির কাজ শুরু হয়। সেই কাজ অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে। সংশোধনাগারের বাড়িটি তৈরি হয়ে গিয়েছে। আধুনিক মানের সংশোধনাগার তৈরির ক্ষেত্রে অন্য সব কাজও দ্রুত গতিতে চলছে। সামনেই বিদ্যুতের কাজ শুরু হবে। কিন্তু যেখানে সংশোধনাগার তৈরি হয়েছে, সেখানকার জমি চারিত্রিক ভাবে নিচু। ফলে বর্ষা শুরু হতেই সমস্যা বেড়েছে বলে কারা দফতর সূত্রে খবর। নতুন তৈরি সংশোধনাগারের আশপাশে জল জমতে শুরু করেছে। যার জেরে বন্দিদের স্থানান্তরের প্রক্রিয়া আপাতত থমকে গিয়েছে বলে কারা দফতর সূত্রে খবর। এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘জলের মধ্যে তো আর বন্দিদের রাখা যাবে না। সে কারণে দেরি হচ্ছে।’’
কারা দফতর সূত্রে খবর, ইতিমধ্যে বারুইপুরে নির্মীয়মাণ সংশোধনাগার এলাকায় নর্দমা তৈরিও শুরু হয়েছে। তবে তা শেষ করতে খানিকটা সময় লাগবে। কারা দফতরের আর একটি সূত্রের খবর, সংশোধনাগারের ভিতরে ও বাইরের অংশে এখন পাইপলাইনের কাজ চলছে। বর্ষায় সেই কাজেও সমস্যা হয়। কাজের গতি শ্লথ হয়ে গিয়েছে। এমতাবস্থায় কবে আলিপুর থেকে বারুইপুরে সংশোধনাগার স্থানান্তর হবে, এখনই তা স্পষ্ট ভাবে জানায়নি কারা দফতর। তবে যত দ্রুত সম্ভব, বন্দিদের স্থানান্তর করা হবে বলে আশা কারা কর্তাদের। কারামন্ত্রী উজ্জ্বল বিশ্বাসের দাবি, ‘‘পুজোর আগেই আলিপুর থেকে বারুইপুরে বন্দিদের স্থানান্তর করা হবে।’’ উল্লেখ্য, কারা দফতর সূত্রের খবর, প্রথমে আলিপুরের ‘নরম’ বন্দিদের বারুইপুরে স্থানান্তর করা হবে। কারণ, নতুন সংশোধনাগারটি পরীক্ষা করে দেখাও প্রয়োজন বলে মত কারা দফতরের কর্তাদের একাংশের। ফলে যে সব বন্দিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নেই, তাঁদেরই প্রথম নিয়ে যাওয়া হবে।