—প্রতীকী ছবি।
কড়েয়ায় গুলি করে যুবক হত্যার ঘটনায় মূল অভিযুক্ত নৌশাদ এবং তার কাকা সাকির ধরা পড়েনি। শনিবার রাতে কড়েয়া থানা এলাকার লোহাপুল অটোস্ট্যান্ড লাগোয়া একটি ক্লাবের বাইরে শেখ মইনাজ ওরফে শেখ ময়না নামে এক যুবক খুন হন। অভিযোগ, স্থানীয় যুবক নৌশাদ তাঁকে গুলি করে পালিয়ে যায়।
ঠিক কী কারণে খুন, তা নিয়ে ধন্দ কাটেনি। স্থানীয় বাসিন্দারা পুলিশকে জানান, নৌশাদের স্ত্রীকে কটূক্তি করা নিয়ে মইনাজের সঙ্গে সাকিরের গোলমাল চলছিল। রেললাইনের পাশের একটি ঝুপড়িতে স্ত্রী এবং দুই মেয়েকে নিয়ে থাকত মইনাজ। সম্প্রতি সেই ঝুপড়ির পাশের একটি ঘরে এক তরুণীকে এনে তোলে সাকির। অভিযোগ, সেখানে প্রায়ই মদ ও জুয়ার আড্ডা বসত। শনিবার সন্ধ্যায় সাকিরের সেই বান্ধবী নিজের মোবাইলে মইনাজের স্ত্রীর ছবি তুলছিল। প্রতিবাদ করেন মইনাজ এবং তাঁর স্ত্রী। ওই তরুণী তখন সাকিরকে ঘটনাস্থলে ডেকে পাঠায়। কেন ভিডিয়োয় ছবি তোলা হল, তা নিয়ে মইনাজের সঙ্গে সাকিরের বচসা বাধে। হাতাহাতিও হয়। অভিযোগ, মইনাজ চপার জাতীয় অস্ত্র দিয়ে সাকিরকে আঘাত করে লোহাপুলের অটোস্ট্যান্ড সংলগ্ন ক্লাবের সামনে পালিয়ে যান। কাকাকে আঘাত করার বদলা নিতে নৌশাদ সেখানে গিয়ে মইনাজকে গুলি করে পালায়।
স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ এই খুনের পিছনে প্রোমোটিং নিয়ে বিরোধের কথাও বলছেন। তাঁরা জানান, নৌশাদ এক প্রভাবশালী প্রোমোটারকে নিয়ে এলাকায় কিছু নির্মাণকাজ শুরু করেছিল। তাতে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল মইনাজ ও তার কিছু সঙ্গী। সেই রাগ ছিল নৌশাদের। তবে তদন্তকারীরা মনে করছেন, নৌশাদ বা সাকির পুলিশের জালে ধরা পড়ার আগে কী কারণে এই খুন, সেটা স্পষ্ট হবে না।