তরুণী খুনের তদন্তে দাবি ভাইয়ের নার্কো-পরীক্ষার

খুনের মামলা দায়ের হওয়ার পরে কেটে গিয়েছে দেড় মাস। এখনও কিনারা হয়নি রবীন্দ্র সরোবর এলাকার বাসিন্দা চান্দ্রেয়ী দাসচৌধুরীর মৃত্যু-রহস্যের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০১৮ ০০:৫৩
Share:

খুনের মামলা দায়ের হওয়ার পরে কেটে গিয়েছে দেড় মাস। এখনও কিনারা হয়নি রবীন্দ্র সরোবর এলাকার বাসিন্দা চান্দ্রেয়ী দাসচৌধুরীর মৃত্যু-রহস্যের।সেই ঘটনার তদন্তে এ বার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে পুলিশ। লালবাজার সূত্রের খবর, মৃতার ভাই জয় দাসচৌধুরীর নার্কো-অ্যানালিসিস করতে চেয়ে আলিপুর আদালতে আবেদন করেছেন তদন্তকারীরা। যা মঞ্জুরও করেছেন বিচারক। আলিপুর আদালত সূত্রের খবর, জয়

Advertisement

দাসচৌধুরী ওই পরীক্ষায় বসতে রাজি কি না, তা জানার জন্য আগামী সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহে তাঁকে আইনজীবী-সহ আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। সে দিনই আদালত জয়ের কাছে জানতে চাইবে, তিনি ওই পরীক্ষায় বসতে চান কি না। নির্দিষ্ট দিনে হাজিরার নির্দেশ দিয়ে জয়কে একটি নোটিসও পাঠাচ্ছে আদালত।কিন্তু হঠাৎ করে নার্কো-অ্যানালিসিস-এর সিদ্ধান্ত কেন?

এ পর্যন্ত তদন্ত যে পথে এগিয়েছে, তাতে পুলিশের অনুমান, ওই খুনের পিছনে রয়েছে পরিচিতদের হাতে। ঘটনার আগের দিন বাড়িতে অন্য কেউ আসেনি বলেই পুলিশের কাছে দাবি করেছেন চান্দ্রেয়ীদেবীর মা ও ভাই। জেরায় জয় দাসচৌধুরীর বক্তব্যে একাধিক অসঙ্গতি মেলায় তাঁকে টানা দু’বেলা জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্তকারীরা। কিন্তু তাতেও ঘটনার কিনারা হয়নি। পুলিশের ধারণা, এই খুনের মামলার জট কাটাতে জয়ের বক্তব্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু তাঁর কাছ থেকে সহযোগিতা না পেয়েই নার্কো-অ্যানালিসিস করাতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানানো হয়েছে।

Advertisement

লেক থানা এলাকার সাদার্ন অ্যাভিনিউয়ের বাসিন্দা চান্দ্রেয়ী দাসচৌধুরী তাঁর মা ও ভাইয়ের সঙ্গে পৈতৃক বাড়িতে থাকতেন। গত ২২ মে অচৈতন্য অবস্থায় চান্দ্রেয়ীদেবীকে ঘরের মধ্যে দেখতে পান তাঁর ভাই ও মা। তাঁরা প্রথমে শরৎ বসু রোডের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান ওই মহিলাকে। তার পরে সেখান থেকে ট্যাক্সি করে এসএসকেএমে। ওই হাসপাতালের চিকিৎসকেরা চান্দ্রেয়ীদেবীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। অস্বাভাবিক মৃত্যু বলে দেহটি ময়না-তদন্তে পাঠায় পুলিশ। কিন্তু কোনও অভিযোগ দায়ের না হওয়ায় তাঁর দেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়।

লালবাজার সূত্রের খবর, ঘটনার ৫০ দিনের মাথায় ময়না-তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেয়ে জুলাই মাসের মাঝামাঝি পুলিশ জানতে পারে, চান্দ্রেয়ীদেবীকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছিল। পরিবারের কেউ কোনও অভিযোগ না করলেও ময়না-তদন্তের রিপোর্ট দেখে পুলিশ নিজেই একটি খুনের মামলা দায়ের করে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন