নয়া এসি রেকে নাগাড়ে ‘বৃষ্টি’

জল পড়ার অসুখ যে সারেনি, তা এ দিন ফের বোঝা গেল বলে মেট্রো সূত্রের খবর।  

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০১৯ ০০:০৭
Share:

ছত্রধর: জল থেকে বাঁচতে মেট্রোর ভিতরেই খুলতে হয়েছে ছাতা। বুধবার। ছবি: আর্যভট্ট খান।

মাত্র সপ্তাহ খানেক আগেই চলা শুরু করেছে কলকাতা মেট্রোর নতুন এসি রেক। এরই মধ্যে ওই ট্রেনের একাধিক কামরায় ছাদ থেকে এসি-র জল চুঁইয়ে পড়ায় নাজেহাল হতে হল যাত্রীদের। অভিযোগ, বুধবার দুপুরে দমদম থেকে কবি সুভাষগামী একটি ট্রেনের কামরায় উঠে যাত্রীরা দেখেন,

Advertisement

কামরায় জল থই থই করছে। প্ল্যাটফর্মে ট্রেন থামার আগে বা ট্রেন ছাড়ার মুহূর্তে কামরার দরজার কাছে ছাদ থেকে কার্যত বৃষ্টির ধারার মতো জল পড়তে দেখা গিয়েছে। চুঁইয়ে পড়া জল কামরার মেঝেতেও ছড়িয়ে পড়ে। এর জেরে যাত্রীদের একাংশ দরজা লাগোয়া কয়েকটি আসনে বসতে পারেননি বলেও অভিযোগ।

কী বলছেন নাকাল যাত্রীরা? ওই কামরার এক যাত্রী বলেন, ‘‘চালকের কামরার পরের কামরায় উঠেছিলাম। মেট্রো চলা শুরু করতেই দেখলাম, ছাদ থেকে বৃষ্টির মতো জল পড়া শুরু হল। যাত্রীদের অনেকের মতো এক পাশে সরে গিয়ে কোনওমতে ভিজে যাওয়া থেকে রক্ষা পেলাম।’’ মেট্রো সূত্রের খবর, চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রাল কোচ ফ্যাক্টরি (আই সি এফ) থেকে আনা দু’টি রেকের একটিতে ছাদ থেকে জল চুঁইয়ে পড়ার সমস্যা বেশ প্রকট। গত ৩ এপ্রিল রাতে রেকটি যাত্রা শুরু করতেই ওই সমস্যা ধরা পড়েছিল। তার পরে এক সপ্তাহ কেটে গেলেও ওই সমস্যা যে মেটানো যায়নি, তা এ দিনের ঘটনা থেকেই পরিষ্কার। যদিও মেট্রো রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক ইন্দ্রাণী বন্দ্যোপাধ্যায় এ দিন বলেন, ‘‘রেকটি নোয়াপাড়া কারশেডে নিয়ে গিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে। অন্য কামরাগুলিতেও ত্রুটি আছে কি না, তা-ও ভাল ভাবে দেখা হচ্ছে।’’

Advertisement

আজ কোথায় কোথায় ভোট, দেখে নিন

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

তবে মেট্রোর আধিকারিকদের একাংশ আইসিএফ থেকে আনা রেকগুলির কার্যকারিতা নিয়ে ইতিমধ্যেই সংশয় প্রকাশ করেছেন। তাঁদের মতে, কলকাতা মেট্রোর পুরনো এসি রেকগুলিতেও দীর্ঘদিন এই সমস্যা ছিল। পাশাপাশি, বাতানুকূল কামরা যথেষ্ট ঠান্ডা না হওয়ার অভিযোগও ছিল। পরে একটি বেসরকারি সংস্থার সাহায্য নিয়ে সেই ত্রুটি দূর করা হয়। মেট্রো সূত্রের খবর, ওই সমস্যা থেকে শিক্ষা নিয়ে আইসিএফের নতুন রেকগুলিতে বেশ কিছু বদলের সুপারিশ করেন কর্তৃপক্ষ। তার মধ্যে এসি-র ডাক্ট পাইপের অবস্থান বদল ছাড়াও রুফ মাউন্টিং ইউনিটের অবস্থান বদলানোর কথাও বলা হয়েছিল। তবে সমস্যা আরও রয়েছে আশঙ্কা করেই নতুন রেক দু’টি এখনও বেশি ব্যবহার করা হচ্ছে না বলে মেট্রো সূত্রের খবর। দিনের ব্যস্ত সময়ে মাত্র দু’বার করেই চালানো হচ্ছে রেক দু’টি। প্রায় দু’বছর ধরে চেষ্টা চালিয়ে আইসিএফের রেকের একাধিক ত্রুটি মেরামতি করা গেলেও ছাদ থেকে

জল পড়ার অসুখ যে সারেনি, তা এ দিন ফের বোঝা গেল বলে মেট্রো সূত্রের খবর।

এক আধিকারিক জনান, আপাতত নজরদারির মধ্যে কিছু দিন চালানোর পরে রেকগুলি পূর্ণ ক্ষমতা অনুযায়ী ব্যবহার করার কথা। যদিও তীব্র গরম এবং বর্ষার সময়ে এমন রেকগুলি কতটা ব্যবহার করা যাবে, তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করছেন আধিকারিকদেরই একাংশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement