— প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
পার্ক স্ট্রিটে হোটেলের ঘরে বক্সখাটের মধ্যে থেকে যুবকের দেহ উদ্ধারের ঘটনায় আরও ঘনাল রহস্য। হোটেলের কর্মী ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে তদন্তকারীরা জানতে পারলেন, তিন জন নয়, দু’জনই এসেছিলেন হোটেলে। পরে তাঁদের মধ্যে এক জনের দেহ উদ্ধার হয়। ৪৮ ঘণ্টা কেটে গেলেও অপর জনের খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত রাহুল লালের সঙ্গে আরও এক জন যুবক ছিলেন। গত ২২ অক্টোবর দু’জন মিলে পার্ক স্ট্রিটের রফি আহমেদ কিদওয়াই রোডের একটি হোটেলে ঘর ভাড়া নেন। পরে ওই ঘরে বক্সখাটের ভিতর থেকেই রাহুলের পচাগলা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত রাহুলের সঙ্গীর খোঁজ মেলেনি। তিনি ভিন্রাজ্যে পালিয়ে গিয়েছেন কি না, সেই দিকটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সঙ্গে আশপাশের হোটেলেও খোঁজখবর নিয়ে দেখা হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, নিহত রাহুলের কাছে কোনও মোবাইল ফোন ছিল না। তাঁর পলাতক সঙ্গীর কাছে ফোন ছিল কি না, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। কারণ, মোবাইলের টাওয়ারের অবস্থান খতিয়ে দেখা গেলে তাঁর খোঁজ পাওয়া সহজ হত। গত ২২ তারিখ বিকেলে হোটেলে এসেছিলেন রাহুল ও তাঁর সঙ্গী ওই যুবক। তবে কিছু ক্ষণ পরেই ওই যুবক ঘর ছেড়ে বেরিয়ে যান। পরে আবার হোটেলে ফিরে আসেন তিনি। কেন হঠাৎ ওই যুবক বেরিয়ে গেলেন, কেনই বা ফিরে এলেন, মাঝের সময়টুকু কোথায় ছিলেন তিনি— সে সব নিয়ে ধন্দ এখনও কাটেনি। তদন্তে পুলিশের আরও অনুমান, পলাতক ওই যুবকের সঙ্গে ওড়িশা-যোগ থাকতে পারে। তাই ওড়িশাতেও খোঁজখবর চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। অপরাধীর খোঁজ পেতে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজও সংগ্রহ করা হয়েছে।