নিউ টাউন

শহরকে আরও স্মার্ট করতে নয়া বাতিস্তম্ভ

এক ছাতার তলায় অনেক কিছু। পোশাকি নাম ‘স্মার্ট পোল’। তবে ব্যবহার বহুল। বাতিস্তম্ভে বাতি তো জ্বলবেই। এ ছাড়াও ব্যবস্থা থাকবে ওয়াই-ফাই পরিষেবার। আবার বাতিস্তম্ভেই থাকবে ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড, সিসিটিভি। নিউ টাউনের রাস্তায় এমনই বাতিস্তম্ভ বসাতে চলেছে হিডকো।

Advertisement

প্রবাল গঙ্গোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ১৩ ডিসেম্বর ২০১৬ ০১:১৮
Share:

বাতিস্তম্ভ এখন যেমন। (ডান দিকে) নতুন স্মার্ট পোল। — নিজস্ব চিত্র

এক ছাতার তলায় অনেক কিছু। পোশাকি নাম ‘স্মার্ট পোল’। তবে ব্যবহার বহুল। বাতিস্তম্ভে বাতি তো জ্বলবেই। এ ছাড়াও ব্যবস্থা থাকবে ওয়াই-ফাই পরিষেবার। আবার বাতিস্তম্ভেই থাকবে ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড, সিসিটিভি। নিউ টাউনের রাস্তায় এমনই বাতিস্তম্ভ বসাতে চলেছে হিডকো।

Advertisement

হিডকো কর্তারা জানান, গ্রিন সিটির প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্যই হল পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা ও সবুজায়নের পাশাপাশি শহরকে যতটা সম্ভব ‘স্মার্ট’ করে গড়ে তোলা। বর্তমানে নিউ টাউনের রাস্তায় বাতিস্তম্ভের সঙ্গে তার দিয়ে পেঁচিয়ে রাউটার বসানো হয়। আগামী দিনে স্মার্ট পোলের ভিতরেই ওয়াই-ফাই পরিষেবা দেওয়ার জন্য রাউটার বসানো হবে। একই সঙ্গে রাউটার চুরি হওয়ার আশঙ্কাও থাকবে না।

সাধারণ বাতিস্তম্ভের চেয়ে একটু বেশি উঁচু স্মার্ট পোলটি আপাতত নিউ টাউনের অ্যাকশন এরিয়া ১-এর বিজনেস ক্লাবের সামনে মডেল হিসেবে দাঁড় করানো হয়েছে। ওই বাতিস্তম্ভের থেকে ৫০০ মিটার ব্যাসার্ধ পর্যন্ত জায়গায় ওয়াই-ফাই পরিষেবা দেওয়া যাবে বলে জানিয়েছে হিডকো। হিডকোর চেয়ারম্যান দেবাশিস সেন জানান, বিভিন্ন পরিষেবা দেওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় গ্যাজেট, কেব্‌ল— সবই পোলের ভিতরে অথবা মাটির তলায় বসানো থাকবে। আধিকারিকেরা জানান, স্মার্ট পোলের নীচে মাটির তলায় একটি বড় চেম্বার থাকবে। তার ভিতরেই বসবে সব যন্ত্রপাতি। তাঁরা জানান, বর্তমানে টাইমারের সাহায্যে নিউ টাউনের রাস্তার আলো নিয়ন্ত্রণ করা হয়। স্মার্ট পোলে বসানো এলইডি নিয়ন্ত্রণ করা হবে রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে। ফলে তা খরচও কমাবে। এমনকী ওই স্মার্ট পোলে বিপদ ঘণ্টি বসানো যায় কি না, তারও পরিকল্পনা হচ্ছে।

Advertisement

শহরকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা রাখার জন্য স্মার্ট পোলেই থাকছে বিজ্ঞাপন দেওয়ার ব্যবস্থা। হিডকো জানায়, এক জায়গায় একাধিক হোর্ডিং থাকলে দৃশ্যদূষণ হয়। কিন্তু স্মার্ট পোলে থাকবে ডিজিটাল ডিসপ্লে বোর্ড। সেখানে এলইডি স্ক্রিনে ভিডিওর মাধ্যমে বিভিন্ন সময়ে সরকারি-বেসরকারি সব ধরনের বিজ্ঞাপন দেওয়া যাবে। নির্ধারিত সময় অন্তর রিমোট কন্ট্রোলের মাধ্যমে ওই সব বিজ্ঞাপন প্রদর্শিত হবে।

রাজ্যে গ্রিন সিটি তৈরির জন্য ২৯ নভেম্বর নগরোন্নয়ন দফতর নিউ টাউনে বিভিন্ন পুরসভাকে নিয়ে আলোচনায় বসেছিল। সেখানে এই ধরনের বাতিস্তম্ভ বসানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে পুরসভাগুলিকে। হিডকো আধিকারিকেরা জানান, ওয়াই-ফাই, মোবাইল পরিষেবা অথবা বিদ্যুতের সংযোগ দেওয়ার জন্য বিভিন্ন সংস্থা একসঙ্গে কাজ করবে। তবে এই সমস্ত পরিষেবা দেওয়ার জন্য কারা কোন কাজ করবে, তা টেন্ডারের মাধ্যমে ঠিক হবে বলে জানিয়েছে হিডকো।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement