এক কোটির কোকেন-সহ ধৃত নাইজিরীয়

মাদক-চক্রের ‘বস’ বসে রয়েছে মুম্বইয়ে। সে মাদক সরবরাহ করতে লোক পাঠাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। যে মাদক নিয়ে বিমানে উড়ে যাচ্ছে এবং যে তার কাছ থেকে মাদক ডেলিভারি নিচ্ছে— এই দু’জন দু’জনকে চেনে না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০১৮ ০২:০৯
Share:

কেভিন এডওয়ার্ড জেমস

ঠিক যেন বলিউডের কোনও প্লট।

Advertisement

মাদক-চক্রের ‘বস’ বসে রয়েছে মুম্বইয়ে। সে মাদক সরবরাহ করতে লোক পাঠাচ্ছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। যে মাদক নিয়ে বিমানে উড়ে যাচ্ছে এবং যে তার কাছ থেকে মাদক ডেলিভারি নিচ্ছে— এই দু’জন দু’জনকে চেনে না। এক জনের কাছে অন্য জনের মোবাইল নম্বরও নেই।

তা হলে কী করে যোগাযোগ হচ্ছে তাদের?

Advertisement

‘নার্কোটিক কন্ট্রোল ব্যুরো’ (এনসিবি) সূত্রে জানা গিয়েছে, মুম্বইয়ের বস দু’জনকে নিজের মোবাইল থেকে কনফারেন্স কলে ধরে। সেই কনফারেন্স কলেই ঠিক হয়, কখন, কোথায় মাদকের হাতবদল হবে। এর ফলে বস ছাড়া বাকি দু’জন একে অন্যের নম্বর জানতে পারে না।

বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজারহাটের একটি শপিং মলের সামনে এমনই এক নাটকীয় হাতবদলের আগে এনসিবি অফিসারদের হাতে ধরা পড়ে গেল কেভিন এডওয়ার্ড জেমস নামে নাইজিরীয় এক যুবক। তার কাছ থেকে ১৭০ গ্রাম কোকেন পাওয়া গিয়েছে, যার বাজারদর প্রায় এক কোটি টাকা। জেমস যাকে ওই কোকেন দিতে এসেছিল, তাকে ধরা যায়নি। দূর থেকে জেমসের উপরে অনেক ক্ষণ ধরে নজর রাখেন এনসিবি অফিসারেরা। অনুমান, এই গোপন অভিযানের কথা জানতে পেরে যায় জেমসের কাছ থেকে মাদক নিতে আসা ব্যক্তি। সে আসেনি।

এনসিবি-র পূর্বাঞ্চলের অধিকর্তা দিলীপ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, মুম্বইয়ে জেমসের যে বস, সে-ও নাইজিরীয়। প্রাথমিক ভাবে তার নাম জন বা টনি বলে জানা গিয়েছে। এ দেশে গত বেশ কয়েক বছর ধরে যে নাইজিরীয়রা মাদক চোরাচালানে নেমেছে — জেমসের গ্রেফতারের পরে সেই তথ্যের উপরেও সিলমোহর পড়ল বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা।

গত দু’বছরে দক্ষিণ আফ্রিকা, ইউক্রেন এবং বলিভিয়া থেকে তিন জন মহিলা কলকাতায় এসে মাদক-সহ ধরা পড়ে যায়। ধৃত তিন জনই জানিয়েছিল, কলকাতায় কোনও এক নাইজিরীয় যুবককে ওই মাদক সরবরাহ করার কথা ছিল। কিন্তু তিনটি ক্ষেত্রেই সংশ্লিষ্ট নাইজিরীয় যুবককে ধরা যায়নি। জেমস যে চক্রের সদস্য, ওই তিন নাইজিরীয় যুবক সেই একই চক্রের সদস্য কি না, তা নিশ্চিত করে বলতে পারেননি তদন্তকারীরা।

প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, জেমস ভারতে ঢোকে গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর। এর আগেও বার দুই ‘বস’-এর নির্দেশে সে কলকাতায় এসে মাদক সরবরাহ করে গিয়েছে। গোয়া, হায়দরাবাদে গিয়েও মাদক পৌঁছে এসেছে জেমস। বৃহস্পতিবার দুপুরের উড়ানে মুম্বই থেকে কলকাতায় এসেছিল কোকেন সরবরাহ করতে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন