Nimta Murder Case

ভোল বদলেও লাভ হল না প্রিন্সের, ম্যানেজমেন্ট পড়ুয়া খুনে জালে মূল অভিযুক্ত

গা ডাকা দেওয়ার পর চুলের স্টাইল পাল্টে, দাড়ি কেটে নিজের ভোলই পাল্টে ফেলেছিল প্রিন্স।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০১৯ ২০:১০
Share:

প্রিন্স সিংহ।

ভোল বদলেও পুলিশের হাত থেকে নিস্তার মিলল না। দেবাঞ্জন দাসকে খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত প্রিন্স সিংহ অবশেষে পুলিশের জালে। নবমীর রাতে পার্টি সেরে ফেরার পথে গাড়ির মধ্যে খুন হন দেবাঞ্জন। ঘটনার দু’সপ্তাহের মাথায় তাকে গ্রেফতার করল নিমতা থানার পুলিশ। এই ঘটনায় আরও কয়েক জন জড়িত থাকার সম্ভাবনা রয়েছে।

Advertisement

গা ডাকা দেওয়ার পর চুলের স্টাইল পাল্টে, গোঁফ কেটে নিজের ভোলই পাল্টে ফেলেছিল প্রিন্স। এমনকি চশমাও পরছিল না। কিন্তু গত দু’সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালানোর পাশাপাশি প্রিন্সের পরিচিতদের উপর নজর রাখছিল পুলিশ। ফলে ভোল বদলেও বিশেষ সুবিধা করতে পারেনি সে। শনিবার সন্ধ্যায় তাকে তার এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে।

এ দিন সকালে প্রিন্সের ঘনিষ্ঠ বন্ধু বিশাল মারু নামে এক তরুণকে গ্রেফতার করে পুলিশ। খুনের ঘটনায় সরাসরি না হলেও পরোক্ষ ভাবে এই তরুণ যুক্ত রয়েছে বলে জানায় পুলিশ। গত কয়েক দিন ধরেই প্রিন্সের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছিল পুলিশ। এই খুনের ঘটনায় তার কী ভূমিকা রয়েছে, সে বিষয়ে অবশ্য পুলিশ এখনই কোনও মন্তব্য করতে নারাজ।

Advertisement

আরও পড়ুন: ৩ ঘণ্টার পার্টিতেই লুকিয়ে দেবাঞ্জন খুনের রহস্য, গুলি করার পরেও ঘটনাস্থলে ছিল খুনি!​

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এফআইআরে প্রিন্স সিংহ, তৃষা সরকার-সহ আরও তিন জনের নাম উল্লেখ করেছিলেন দেবাঞ্জনের বাবা অরুণ দাস। তাঁদের মধ্যে ছিল বিশাল মারুর-ও নাম। পুলিশ ইতিমধ্যেই দেবাঞ্জনের প্রেমিকা তৃষার সঙ্গে কথা বলেছে।

আরও পড়ুন: যোধপুর পার্কের গেস্ট হাউসে এক বিদেশিনীর দেহ উদ্ধার​

নবমীর রাতে দেবাঞ্জন এবং তিনি সল্টলেক সেক্টর ফাইভের প্রিচ নামে একটি পানশালায় গিয়েছিলেন। সেখানে বাকিরাও ছিলেন। ওই পানশালায় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি দেবাঞ্জনের ১৭ জন বন্ধুকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পুলিশ সূত্রে খবর, খুনের ঘটনায় প্রিন্স সিংহকে প্রধান অভিযুক্ত বলে মনে করছেন তদন্তকারীরা। দু’দিন বাড়িতে থাকার পর সে গা ঢাকা দিয়েছিল। পালিয়ে প্রথমে বিশালের বাড়িতে আশ্রয় নেয় প্রিন্স। তার পরে বজবজে এক আত্মীয়ের বাড়িতে যায় সে। শুক্রবার বজবজে সেই আত্মীয়ের বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। সেখান থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে একটি সূত্রের দাবি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন