কলকাতা বিমানবন্দর থেকে আচমকাই নিখোঁজ হয়ে গেলেন এক বিমানযাত্রী। আগরতলায় যাওয়ার কথা ছিল ত্রিপুরার সোনামুড়া মহকুমার রাজীবনগরের বাসিন্দা ওই যাত্রী আব্দুল রেজ্জাকের।
বুধবার সকালে দিল্লি থেকে কলকাতা ঘুরে ইন্ডিগো-র উড়ানে রেজ্জাক ও তাঁর শ্যালক অনল হক আগরতলা যাচ্ছিলেন। কলকাতা বিমানবন্দর সূত্রের খবর, দিল্লি থেকে ইন্ডিগোর বিমানটি কলকাতায় এসে আগরতলা যাওয়ার কথা ছিল। অভিযোগ, কলকাতায় নামার আগে থেকেই বিমানে ‘অস্বাভাবিক’ আচরণ করতে থাকেন রেজ্জাক। কলকাতায় নামার পরে পাইলট তা জানতে পেরে রেজ্জাককে সেখানে নামিয়ে দিতে বলেন। মানসিক ভাবে সুস্থ না-থাকায় তাঁকে নিয়ে যেতে চাননি পাইলট।
বিমান সংস্থার দাবি, রেজ্জাকের সঙ্গে থাকা শ্যালককেও সেই সময়ে নেমে যেতে বলা হলে, তিনি জানান— তাঁর আগরতলায় যেতেই হবে। রেজ্জাকের পারিবারিক সূত্রে খবর, তাঁকে বিমান থেকে নামিয়ে দেওয়ার সময়ে চুপ করেই বসেছিলেন অনল। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ন’টা নাগাদ।
বিমান সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, রেজ্জাককে নামিয়ে আনার পরে সংস্থার কর্মীদের সঙ্গেই ছিলেন তিনি। রেজ্জাককে বিমানবন্দর থেকে খাবার কিনে খাওয়ানোও হয়েছে। অভিযোগ, খাওয়ার পরে আচমকাই ইন্ডিগোর কর্মীদের চোখে ধুলো দিয়ে বিমানবন্দর ছেড়ে বেরিয়ে যান রেজ্জাক। তাঁর কাছে টাকা পয়সা-জামাকাপড় ছিল না বলে পরিবার জানিয়েছে। তাঁরা ইন্ডিগো কর্মীদের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে ত্রিপুরা পুলিশের ডিজি-র দ্বারস্থ হন।
বুধবারেই কলকাতায় এসেছেন রেজ্জাকের ভাই ইউনুস মিঞা। তিনি বুধবার রাতে জানান, সিসিটিভি-র ফুটেজ দেখবে বিমানবন্দর থানার পুলিশ| রেজ্জাকের ছবি হোয়াটসঅ্যাপে ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে।
রেজ্জাক দিল্লি গিয়েছিলেন কুয়েতের ভিসা জোগাড় করতে। দিল্লিতে থাকাকালীনই তিনি মানসিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন| স্ত্রী রোশেনারা বলেন, ‘‘আমার ভাইকে বলি ওঁকে নিয়ে আগরতলা চলে আসতে। দুপুরে ইন্ডিগো থেকে ফোনে বলা হয়, পরের বিমানে আমার স্বামীকে পাঠানো হবে।’’ অভিযোগ, এর পরে ওই দিনই দুপুর দু’টোর সময়ে তাঁকে ফোনে বলা হয়, রেজ্জাককে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।