জৈব আনাজের হাট

হাট বসবে রবিবারে। কৃষি দফতরের উদ্যোগে এ বার থেকে প্রতি রবিবার কলকাতার বিধান শিশু উদ্যানে বসবে জৈব আনাজের হাট।

Advertisement

প্রবাল গঙ্গোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০১৭ ০০:৫৩
Share:

প্রদর্শনী: জৈব আনাজ দেখছেন কৃষিমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু। সম্প্রতি বিধান শিশু উদ্যানে। নিজস্ব চিত্র

হাট বসবে রবিবারে।

Advertisement

কৃষি দফতরের উদ্যোগে এ বার থেকে প্রতি রবিবার কলকাতার বিধান শিশু উদ্যানে বসবে জৈব আনাজের হাট। জৈব পদ্ধতি যাঁরা চাষ করছেন হাটে মূলত বিকিকিনি করবেন তাঁরাই। তবে কৃষি দফতর জানাচ্ছে, বিধান শিশু উদ্যান নিজেও তাঁদের বাগানে জৈব চাষ শুরু করছে। তাই তাঁরাও বিকিকিনি করবেন। আগামী দিনে বিভিন্ন পরিকাঠামোগত সাহায্য দিয়ে ওই জায়গায় জৈব চাষের একটি কেন্দ্রস্থল তৈরির পরিকল্পনাও করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে কৃষি দফতর।

রাজ্যের কৃষিমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু জানান, উত্তর কলকাতায় এই ধরনের জৈব আনাজের হাট এই প্রথম। দক্ষিণের দিকে ছোটোখাটো কয়েকটি হাট বসে। শিশু উদ্যানের ভিতরে একটি বড় পুকুর রয়েছে। যেটি জৈব উপায়ে মাছ চাষের পক্ষে আদর্শ। পূর্ণেন্দুবাবু বলেন, ‘‘শিশু উদ্যানের তরফ থেকেই শহরে চাষবাসের প্রকল্প নিয়ে ইচ্ছা প্রকাশ করা হয়েছিল। আগামী দিনে ওই জায়গাটি জৈব আনাজ চাষ ও তার বিক্রয়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা হয়ে উঠবে বলেই আশা করি।’’

Advertisement

এই মুহূর্তে বিধান শিশু উদ্যানে শিশুদের খেলাধূলা ছাড়াও লেখাপড়া সংক্রান্ত বিভিন্ন প্রকল্প চলে। তা হলে কী আগামী দিনে শিশু উদ্যান খেত-খামার আর বাজারে পরিণত হবে?

কর্তৃপক্ষের দাবি, প্রকৃতির সঙ্গে এই প্রজন্মের শহুরে ছেলেমেয়েদের পরিচয় নেই। উদ্যানের সম্পাদক গৌতম তালুকদার বলেন,‘‘ কেঁচো কেমন দেখতে হয় এখনকার বাচ্চারা জানে না। অথচ জৈব চাষে কেঁচোর গুরুত্ব অপরিহার্য। এই ধরনের চাষবাসের জেরে বাগানে পাখী-পতঙ্গের আনাগোনা বাড়বে। প্রকৃতির সম্বন্ধে পরিচিতি ঘটাতে এবং জৈব আনাজের উপকারীতা সম্বন্ধে সচেতনতা আনতেই এই ব্যবস্থা।’’ তবে উদ্যানের ঐতিহ্য কিংবা গরিমাকে বিসর্জন দিয়ে কোনও কিছু করা হবে না বলেই জানান গৌতমবাবুর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement